নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির দুদিন পর নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। চার পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সঙ্গে কিনারায় ভেসে ওঠে। সাইফুলের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোট তিনজন মারা যায়। এখনো তামিম নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন