চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জহির উদ্দিন মিন্টু নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার ৮ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর ৫টায় কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় অপহরণকারী কাউকে আটক করা যায়নি।
এর আগে বুধবার রাত ৯টায় উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বইক্যার পাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের শিকার জহির উদ্দিন উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহান সাহেবের বাড়ি এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন।
জহির উদ্দিনের ছোট ভাই মো. সোহেল বলেন, বুধবার রাত ৮টায় আমার ভাইকে মোবাইলে ফোন করে এক ব্যক্তি বালু ভরাটের কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যার পাড়া এলাকায় আসতে বলেন। সে অনুযায়ী আমি ও আমার ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে অপহরণকারীদের দেখানো জায়গায় গেলে তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাই ও আমাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবির টাকা দিতে আমার এক প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করি। টাকা না দিলে তারা আমাদের জানে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভাইকে পশ্চিম দিকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, অপহরণকারী দলের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন হবে। তারা সবাই অস্ত্রধারী। তবে তাদের আমরা চিনতে পারিনি। পরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে ভোরে আমার ভাইকে উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ কালবেলোকে বলেন, অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ প্রদানের আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জহির উদ্দিন মিন্টুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম কালবেলাকে বলেন, অপহরণের বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে। সাড়ে ৮ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন