হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জে গ্রামবাসীদের কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের চিত্র। ছবি : কালবেলা
হবিগঞ্জে গ্রামবাসীদের কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের চিত্র। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে টানা ৪ দিন ধরে উত্তেজনার পর কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (০৭ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যান্ত টানা কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে নবীগঞ্জ বাজারে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল, যানবাহন ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, আমরা বিষয়টি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। সংঘর্ষ ও লুটপাটের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। শহরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পূর্ব তিমিরপুর এবং আনমনু গ্রামবাসীর মধ্যে নবীগঞ্জ শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (০৪ জুলাই) রাতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

পরদিন শনিবার (০৫ জুলাই) সকাল থেকে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আনমুনু গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নবীগঞ্জ শহর ও আনমনু পয়েন্টে জড়ো হতে থাকলে আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

এক পর্যায়ে শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। রোববার (০৬ জুলাই) সকালে ও রাতে সংঘর্ষ ও চোরাগুপ্তা হামলা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকপাট ভাঙচুরও করা হয়।

এর জের ধরে সোমবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি সভা করে। বিকেল ৩টার দিকে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে উভয় গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে নবীগঞ্জ শহরের আশপাশের আনমনু গ্রামের পক্ষ নেয় নোয়াপাড়া, রাজার বাজার এবং পূর্ব তিমিরপুরের পক্ষ নেয় পশ্চিম তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের নারী-পুরুষ। দুই পক্ষের হাজারও মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে শতাধিক দোকান পাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয় ইউনাইডেট হসপিটাল নামে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাঙচুর, মাছ বাজার, হোটেলে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শহরজুড়ে।

সেনাবাহিনী, পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাতে বাড়ি থেকে বের হন জাকির, সকালে মিলল মরদেহ

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল

মীর মুগ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ‘কালি’

দুর্নীতির দায়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বরখাস্ত

ইসরায়েলকে ছেড়ে সৌদিতে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস অজান্তেই আপনার লিভারের ক্ষতি করছে

নারীর অধিকার সুরক্ষায় নিবন্ধন আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো, কারণ কী

প্লট দুর্নীতি / হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি চুক্তি নিয়ে রায় ৪ ডিসেম্বর

১০

কঠোর গোপনীয়তায় কারাগার থেকে সরানো হলো স্ত্রীসহ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে

১১

যমুনা অভিমুখে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, পুলিশের বাধা

১২

ছেলে-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

১৩

শীতে চুলের যত্নে যা করবেন

১৪

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে জিলবাংলা চিনি কল

১৫

প্রবাসীদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের, ডিসেম্বরে কার্যকর

১৬

‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ

১৭

আপনারা সবটুকু জেনে সত্যটাই প্রকাশ করবেন: তানজিন তিশা

১৮

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের

১৯

ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন

২০
X