হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাঁচামরিচের কেজি ২৫০ টাকা

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচগাছ। ছবি : কালবেলা
বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচগাছ। ছবি : কালবেলা

টানা বর্ষায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে এক দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এক দিন আগে যে বিন্দু মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এক দিন পরই তার দাম বেড়ে হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা।

এ ছাড়াও কারেন্ট জাতের মরিচ বিক্রি হতো ১৫০ টাকা কেজি। সেই মরিচ এক দিন পরই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে এই মরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা বর্ষণের ফলে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেতের মরিচগাছ মরে গেছে। এ ছাড়া যেসব ক্ষেতে মরিচ আছে সেগুলোও বৃষ্টির জন্য তুলতে পারছেন না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কয়েক হাজার মরিচচাষি। বাজারে আমদানি কম হওয়ায় মরিচের দামও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড়াইল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া জানান, আমি এ বছর তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের ফলন অনেক ভালো ছিল। দামও অনেক ভালো পেয়েছি। মৌসুমের মাঝামাঝিতে একবার বৃষ্টি হওয়ায় নিচু অঞ্চলের অনেক জমিতে পানি জমে মরিচগাছ মরে গেছে; কিন্তু আমাদের জমিটা উঁচু হওয়ায় বৃষ্টিতে তখন পানি জমেনি। ফলে গাছগুলো অনেক ভালো ছিল এবং ফলনও ছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় আমরা মরিচ তুলতে পারছি না। মরিচ না তুলতে পারার কারণে অনেক মরিচ পেকে যাচ্ছে এবং জমিতে তা ঝরে পড়ছে। এ ছাড়াও মরিচের নতুন ফুলও আর আসছে না। বৃষ্টিতে পানি জমে মরিচগাছও মরে যাচ্ছে।

ঝিটকা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন জানান, বুধবার (৯ জুলাই) আমরা বিন্দু মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কিনেছি এবং কারেন্ট মরিচ ১৫০ টাকা করে কিনেছি। কিন্তু সেই মরিচ আজ ২১০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে। আর কারেন্ট মরিচ ২৫০ টাকা করে কিনতে হয়েছে। এর কারণ বর্তমানে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মরিচ সরবরাহ হচ্ছে না। যার ফলে মরিচের দাম তুলনামূলক অনেকটাই বেড়ে গেছে। মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পেলে হয়তো আবারও মরিচের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান কালবেলাকে বলেন, অনেক আগে থেকেই এ উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। আবাদও অনেক ভালো হয়। ফলে দিনে দিনে মরিচের আবাদও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মরিচ চাষের জমিগুলো নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে সহজেই পানি উঠে যায়। এতে অনেক জমির মরিচগাছ নষ্টও হয়ে গেছে ৷ কিন্তু যেসব জমিতে পানি ওঠেনি বৈরী আবহাওয়ায় টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকরা জমি থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারছে না। এর ফলে বাজারে মরিচ সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। যার কারণে বাজারে মরিচের দামও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মরিচের সরবরাহ বাড়লে হয়তো দাম আবার কমে আসবে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের খোঁজখবর রাখছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়ান কাপ খেলতে যে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ

অবশেষে কাটল রাকসু শঙ্কা, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন

অনলাইন জুয়া চক্রের শীর্ষ এজেন্ট লিপু গ্রেপ্তার

ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, তারিখ ঘোষণা

অনুমতি ছাড়া খুলনা মেডিকেলে সংবাদ সংগ্রহে পরিচালকের নিষেধাজ্ঞা

এক টেবিলে বিএনপির হেভিওয়েট ৫ মনোনয়নপ্রত্যাশী 

ঢাবি, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরিচ্ছন্নতায় ডিএসসিসি

রোববার ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

সেই ভিক্ষুকের ঘরে মিলল আরও এক বস্তা টাকা

১০

শিশুর উচ্চতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন এই ৪ জিনিস

১১

রাজধানীর আরও বেশ কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১২

গোসলে নেমে প্রাণ গেল ৩ বোনের

১৩

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অ্যাকশনে পুলিশ

১৪

ইশরাকের সঙ্গে বাগদান নিয়ে হবু স্ত্রীর স্ট্যাটাস

১৫

মোবাইলে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

১৬

‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি : দুদু

১৭

র‍্যাবের গাড়ি-বাসের সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩

১৮

কাঁদতে কাঁদতে নিজের জীবনের যে দুঃখের গল্প শোনালেন মারুফা

১৯

আমি কিছুটা ‘লক্ষ্মী’, কিছুটা ‘দুষ্টুও’: মনামী ঘোষ

২০
X