গত দুই দিনের ভারি বর্ষণে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাঁটুপানি জমায় পণ্য খালাস প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯, ১২, ১৫, ১৬ ও ১৮ নম্বর শেডে লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে কাঁচা পণ্যের মাঠ ও ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে হাঁটুপানি জন্মেছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দুর্ভোগ হলেও নজর দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যাগারগুলো নিচু হওয়ায় বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাশনের অভাবে পণ্যাগার ও ইয়ার্ডে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলাবদ্ধতা প্রতি বছর তৈরি হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পার্শ্ববর্তী হাওরের সঙ্গে বন্দরের ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল ৯২৫ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহীদ আলী বলেন, স্থলবন্দরের শেডগুলো অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা বন্দর কর্তৃপক্ষ করেনি। যার ফলে পানি জমে আমদানি-রপ্তানি পণ্য নষ্ট হচ্ছে। বন্দরের পানি আমরা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বেনাপোল পৌরসভা মিলে কয়েক দফা অপসারণের চেষ্টা করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামবে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলী আনু বলেন, বেনাপোল বন্দর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করে শেডগুলো নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। আর ভারি বর্ষণে শেডের মধ্যে পানি গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমদানি পণ্য বিনষ্ট হয়।
মন্তব্য করুন