নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১৮ এএম
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পিরোজপুরের নৌকা কিনতে চায় আলজেরিয়া, বিনিয়োগেও আগ্রহী

পিরোজপুরে শত বছরের ভাসমান নৌকার হাট পরিদর্শনে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব আস সায়দানি। ছবি : কালবেলা
পিরোজপুরে শত বছরের ভাসমান নৌকার হাট পরিদর্শনে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব আস সায়দানি। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের নেছারাবাদ স্বরূপকাঠী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী ভাসমান নৌকার হাট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল ওয়াহাব আস সায়দানি।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর বাজারে অবস্থিত ভাসমান নৌকার হাট ও পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করেন। এ সময় নৌকা তৈরিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল বলেন, নেছারাবাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট দেখে আমি মুগ্ধ। আমরা এখানকার নৌকা কিনতে আগ্রহী এবং ভবিষ্যতে নৌকা তৈরির শিল্পে আলজেরিয়ার পক্ষ থেকে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।’

পরিদর্শন শেষে তিনি ছারছীনার পীর আলহাজ হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। দুপুরে তিনি দরবার শরিফে পৌঁছে মরহুম পীরদ্বয়ের কবর জিয়ারত করেন। পরে দরবারের মেহমানখানায় বর্তমান পীরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও দরবার শরিফ জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন।

এ সময়ে সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন পিরোজপুর (নেছারাবাদ সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহেবুবা, নেছারাবাদ সহকারী কমিশনার ভূমি মো. রায়হান মাহামুদ, নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ঐতিহ্যবাহী ভাসমান নৌকার হাট এখন জমজমাট। বর্ষায় জমে উঠেছে শত বছরের পুরোনো এ হাট। নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর খালে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে ভাসমান নৌকার হাটটি।

আটঘর-কুড়িয়ানার খালে সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার দুদিন হাট বসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। পিরোজপুরের নেছারাবাদ, ঝালকাঠির ভীমরুলি ও বরিশালের বানারীপাড়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ব্যাপক আকারে পেয়ারা ও আমড়া হয়। বর্ষা মৌসুমে শস্য ও পেয়ারার উৎপাদন বেড়ে গেলে কৃষকরা ভাসমান বাজারে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় বেচাকানোর জন্য ব্যবহার করেন নৌকাগুলো।

এই হাটকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে আশ্বিন পর্যন্ত নৌকা কেনাবেচার ধুম পড়ে। আষাঢ় মাসে শুরু হয় ভরা মৌসুম। তখন খালের পানিতে ভেসে চলে বাহারি নৌকার কেনাবেচা। এটি দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নৌকার হাট নামে পরিচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এসএসসির পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ কবে

নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে : নুর

ঢাকায় মিটিং হলে ভারতের বয়কটের হুমকি, অনিশ্চয়তায় এশিয়া কাপ!

৬ বছরেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি : আবরারের বাবা

ঢাকায় কেন মানবাধিকার কমিশনের মিশন, ব্যাখা দিল সরকার

যে কোনো মাঠে বাংলাদেশকে ভালো দল মনে করে পাকিস্তান

‘তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক একটি পক্ষ মেনে নিতে পারছে না’

ওএইচসিএইচআরের চুক্তিতে সই করায় হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ

জামায়াতের সমাবেশে সারজিস

এমি মার্টিনেজকে দলে ভেড়াতে খেলোয়াড় অদল-বদলের পরিকল্পনায় ম্যানইউ

১০

অল্প বয়সেই চুল পড়ে যাচ্ছে? উপকার মিলতে পারে ৫ ফলে

১১

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় টাইফুন উইফা

১২

দেশে নতুন কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না : নাহিদ

১৩

গুরুতর আহত শাহরুখ, বন্ধ হলো সিনেমার শুটিং

১৪

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বিমান চলাচল বন্ধ

১৫

যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে : ফখরুল

১৬

জাতিসংঘের কার্যালয় নিয়ে আজহারীর স্ট্যাটাস

১৭

গণঅভ্যুত্থান কখনো একক কারও অবদানে সফল হয় না : মঞ্জু

১৮

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত : দাবি ট্রাম্পের

১৯

শুঁটকি মাছ উপকারী না ক্ষতিকর? কী বলছেন পুষ্টিবিদ

২০
X