ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২ চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেলসহ মোট ৭৩ জনের বিরুদ্ধে খুলনায় মামলা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য টায়ারে আগুন লাগিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তাদের দুজনকে নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন নিরালা ছবেদা তলা মোড়ের বাসিন্দা মো. আব্দুল রহিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী এবং টুটপাড়া আমান মহল্লার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে জিনার হোসেন।
মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শিহাব উদ্দিন জোয়াদ্দার, ফারুক হোসেন তুরান, অহিদুল ইসলাম পলাশ, হুমায়ুন কবির খান, ফারুক হোসেন শেখ, জামিরুল হুদা জহর, জেড এ মাহমুদ ডন, ফায়জুল ইসলাম টিটু, গোপাল চন্দ্র সাহা, সামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, ইমরানুল হক বাবু, নাসির, রাজুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র ও নাশকতার উদ্দেশ্যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের সামনে অভিযান চালাই। পুলিশের পিকআপ দেখে উপস্থিত নেতারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে টায়ার ও পেট্রোল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অগ্নিসংযোগের জন্য অবস্থান করছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন