মাদারগঞ্জ ( জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৭৮ বছর বয়সেও জোটেনি আনোয়ারার বয়স্ক ভাতার কার্ড

ভাতার কার্ড না পাওয়া বৃদ্ধা আনোয়ারা। ছবি : সংগৃহীত
ভাতার কার্ড না পাওয়া বৃদ্ধা আনোয়ারা। ছবি : সংগৃহীত

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র বাড়ির ভিটা। সেটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা গেছে। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা।

বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার পক্ষে কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। রেখে যায় শুধু বাড়ির ভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায় আনোয়ারা। এরপর বাড়ির ভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়।

মেয়ের বিয়ের পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়ে। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন সে আর তেমন কাজ করতে পারবে না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোন রকম দিনপাত করছে।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো। তবে আশার কথা শুনালেন

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক কালবেলাকে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সঙ্গে মোবাইল নম্বর না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হিরো আলমের ওপর হামলা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে পুসাবের বৈঠক

বিদেশে পাঠানোর ফাঁদে মানুষকে ‘পথে বসানো’ সেলিম গ্রেপ্তার

ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ গড়তে এনসিপি কাজ করছে : সারজিস

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

১০

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

১১

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

১২

হংকং ম্যাচ নিয়ে যা বললেন জামাল

১৩

তারেক রহমানের পক্ষে ৪৫টি মণ্ডপে সহায়তা দিলেন সেলিম

১৪

ব্র্যাক ব্যাংকের নীলফামারী অঞ্চলে এজেন্ট মিট আয়োজন

১৫

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

১৬

প্রবাসীর দেওয়া পাথরে নতুন পথ নোয়াপাড়ার মানুষের

১৭

ভারতে ঢুকতে বিদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম

১৮

স্মারক রৌপ্যমুদ্রার নতুন দাম নির্ধারণ

১৯

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সচেতন হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

২০
X