রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১০ আগস্ট) রাতে বুড়ির হাট এলাকায় নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর এলাকার এবাদত হোসেন (৩৫), বুড়িরহাট এলাকার আক্তারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪০) ও রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২৬)। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক কালবেলাকে বলেন, রূপলাল ও তার ভাগনি জামাই প্রদীপকে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামির চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উপজেলাজুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) উপজেলার বুড়িরহাট বটতলীতে চোর সন্দেহে রূপলাল ও তার ভাগনি জামাই প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে রোববার শ্রীমতি মালতী ওরফে ভারতী রাণী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন