আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরিবারের আবেদন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে কোনো সুযোগ নাই।
এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের জেলে যেতে হবে এমন মন্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি তো এখন পর্যন্ত জানি না উনি (মির্জা ফখরুল) কোনো অপরাধ করেছেন কি না, ওনাকে কেন জেলে যেতে হবে? এটা আমি জানি না। যদি উনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে জেলে যেতে হবে।’
এর আগে সকাল সোয়া দশটায় তিনি আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সড়কপথে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই করবেন না বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এমরান আহমেদ বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিদেশি বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতিদাতাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনও রয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন যে—ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ, গত ২৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত ও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে গত মার্চ মাসে, ৪০ জন বিশ্বনেতা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যাতে প্রধানমন্ত্রীকে তার সবচেয়ে দক্ষ এবং প্রশংসিত নাগরিকদের একজনের বিরুদ্ধে এই বিবেকহীন প্রচারণা বন্ধ করতে বলা হয়।
মন্তব্য করুন