জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা শহরে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে দুই মামলায় বিএনপির ২৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় আরও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গত ৩১ আগস্টে দায়ের করা মামলায় ২ জনকে এবং গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) করা মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
সরিষাবাড়ী থানা-পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে - বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। সেখান থেকে ডোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির ২ সদস্য, কামরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির ২ সদস্য এবং ভাটারা ইউনিয়নের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও গত মাসে বিশেষ ক্ষমতায়নে বিস্ফোরক মামলায় আরও ৫ জন এজাহার নামীয় আসামির মধ্যে ২ জনকে ও শনিবার দিবাগত রাতে আটক করা হয় এবং আজ বিকেল ৩টায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা নৈলাগোলা গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টু (৪৫), মো. হ্যানিস রহমান (৩৮) এবং কামরাবাদ ইউনিয়ন কান্দারপাড়া গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন (৪৫) ও মো. বাদল মিয়া (৫৫) এবং ভাটারা ইউনিয়নের কৃষ্ণরামবাড়ী গ্রামের হাসানুজ্জামান ফটিক (৫৫) এবং সাবেক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের বেপারীপাড়া এলাকার সুজন মিয়া (৪০) এবং মহাদান ইউনিয়নের শিবপুর শ্যামের পাড়া গ্রামের মো. রুবেল মিয়া (৩২)।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার এসআই শিব্বির কালবেলাকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার উদ্দেশে সংঘটিত হচ্ছিল। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের (৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেন, বিএনপির জনস্রোত ঠেকাতে সরকার তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবি মামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মন্তব্য করুন