বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের প্রতিষ্ঠিত স্কুল ধামরাই ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই (১৯৫৭-২০২৫) পরিবারের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকালে বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এবং উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে এই কমিটি গঠন করা হয়। এসময় ১৯৭৫ থেকে ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফকে সদস্যসচিব করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া আহ্বায়ক কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার হাবীবুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া এলাকায় বংশী নদীর পাড় ঘেষা সবুজের মাঝে গড়ে উঠেছে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি পাকিস্তান আমলে (১৯৫৭ সালে) প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খান তার ভাই ‘ওদুদুর রহমান’-এর নামে স্কুলটির নামকরণ করেন। আতাউর রহমান খানের গ্রামের বাড়ি বালিয়া এলাকায়। তার প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি সুনামের সঙ্গে লেখাপড়ার উন্নয়নে কাজ করছেন। লেখাপড়ার মান উন্নত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গাতে এই স্কুলটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে অ্যালামনাই পরিবার না থাকায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন কোনো সম্পর্কের ভিত গড়ে ওঠেনি। তেজগাঁও জোনের ডিসি ডিবি মো. রাকিব খান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ অ্যালামনাই পরিবার গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য সকলের উপস্থিতিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই পরিবারের সদস্যসচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিদ্যালয় আমাদের প্রাণের প্রতিচ্ছবি। কাজেই আমাকেসহ কমিটিকে যে মহান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সকলের সহযোগিতায় সুন্দর করে করব। আমি মনে করি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অর্থাৎ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করাই এখন সময়ের একমাত্র দাবি।
তিনি আরও বলেন, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলার প্ল্যাটফর্মের পথচলা শুরু হতে যাচ্ছে জেনে সকলে অত্যন্ত আনন্দিত। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মন্তব্য করুন