

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পাথর কালীপূজায় এবারও হলো না দুই বাংলার সীমান্ত মিলন মেলা। বর্ষ পঞ্জিকা অনুযায়ী, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের এই দিনে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পারে শ্রী শ্রী জামর কালি জিউ মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, পাথর কালীপূজাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুলিক নদীর ওপারে ভারতের তাঁর কাটার এপারে কোচল, চাপসার ও গোবিন্দপুর এবং ভারতের নারগাঁও ও মাকরহাট সীমান্তের তার কাটার দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই বাংলার স্বজনদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হতো। এ সময় তারা কিছু সময়ের জন্য স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতেন। এছাড়া মিষ্টি ও অন্যান্য সামগ্রী আদান-প্রদান করতেন। কিন্তু গত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে করোনা মহামারির পর থেকে দুই বাংলার মিলন মেলার অনুমতি দেয়নি দুই বাংলার প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূজায় কোনো মিলন মেলা হয়নি। অনেকেই এসেছেন পূজা দেখতে। কিন্তু সীমান্তে মিলন মেল না হওয়ায় মন খারাপ করে চলে যেতে হয়েছে অনেককেই।
পাথর কালী পূজার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করেছি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এবারও কালীপূজায় সীমান্তে কোনো মিলন মেলা হয়নি। এই পূজা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পন্ন করেছি।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে আমরা এখানে দ্বায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলাধীন ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় শ্রী শ্রী জামরকালী জিউ মন্দিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পাথর কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উক্ত স্থানে কোনো মেলা বা গণজমায়েত বা মিলন মেলার আয়োজন করা যাবে না।
মন্তব্য করুন