শেরপুরে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলকে প্রধান আসামি করে ৫০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০০-১২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুণা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাবেক আহ্বায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান চাঁন, রাণীশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন আকন্দ, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার ইসলাম রানা, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইস্রাফিল হোসেন, তাঁতীহাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোহর আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আমির হামজা ও যুবদলের সদস্য রতন মিয়া।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘সরকার গ্রেপ্তার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নামে-বেনামে মামলা দিচ্ছে। এবার যাদের আটক করেছে, তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকে আটক করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শ্রীবরদী থানার ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশীয় অস্ত্রসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় কাকিলাকুড়া মিশু মডেল একাডেমি মাঠে গোপন বৈঠক করছিলেন; এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। ঘটনাস্থলে চারটি ককটেল, ২০টি লাঠি ও ৪টি দা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’