সিরাজগঞ্জ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলার একাধিক সংগঠনের দায়িত্বে থাকা হেলাল আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। এ ছাড়া ধর্ষিতা ওই তরুণী বিয়ের জন্য আলটিমেটামও দিয়েছেন। অভিযুক্ত হেলাল আহমেদ করতোয়ার বহিষ্কৃত সাংবাদিক ও সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বর্তমানে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, হেলাল আহম্মেদ যদি আমাকে বিয়ে না করে তবে সুইসাইড করব। আমাকে মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েত কমিটিসহ পারিবারিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি বিচার চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হেলাল আহমেদ ওই তরুণীকে শহরে অবস্থিত তার মেয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর তাকে বেধড়ক মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী হেলাল আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
ওই সময় নির্যাতিত তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বছর খানেক আগে একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় সাংবাদিক হেলাল আহমেদের শহরের বড়পুল সংলগ্ন অফিসে পরপর কয়েকদিন যান। এই সুযোগে হেলাল আহম্মেদ তাকে চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অফিসের ভেতরের বেডরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন হেলাল আহমেদ। পাশাপাশি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরিও করেছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মারধরে আহত ওই তরুণী থানায় আসার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাকে মেডিকেল করানো হয়েছে। ওই তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে হেলাল আহমেদ বলেন, সাজানো ঘটনায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই তরুণীকে আমি কিছু করিনি, আমার বউ তাকে একটু মারধর করেছে। বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন