সাভারের আশুলিয়ায় শিমু আক্তার (২১) নামে এক তৈরি পোশাক শ্রমিকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তিন বছরের সন্তানকে খোঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার মামুনের পাঁচতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই আবুল হোসেন।
জানা গেছে, শিমু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মোকন্দপুর গ্রামের নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে। তার স্বামী ফারুক হোসেন একই গ্রামের তৈয়েবর মিয়ার ছেলে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ডেকো লিগেসি গ্রুপের আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাদের ৩ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এই সম্পর্কে এসআই আবুল হোসেন বলেন, একই বাসায় নিহত নারীর আরও দুই বোন এবং খালা-খালু বসবাস করেন। সোমবার মধ্যরাতে স্বামী ফারুককে নিয়ে নিজের ঘরে চলে যান শিমু। সকালে এক বোন তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে তিনি দরজা খোলে ঘরে ঢুকতেই রক্তের চিহ্ন দেখতে পান। কিন্তু ঘরে কাউকে না পেয়ে বাথরুমে গিয়ে শিমুর গলাকাটা মরদেহ দেখে চিৎকার দিয়ে উঠেন।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বটি অথবা দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে। ফারুককে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন