..
ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে না পেয়ে অনেকে সারা জীবন কাটিয়ে দেন একাকী। আত্মহত্যা করেন অনেকে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে।
উপজেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গারুড়িয়ার কান্তা হাসান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে গত দেড় বছর আগে পরিচয় হয় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে। একপর্যায়ে দুজনে মিলে ঘর ছেড়ে কিছুদিন আগে পালিয়ে ছিলেন ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে প্রেমিক প্রেমিকাকে ফিরতে হয় বাড়িতে। এসব ঘটনা স্থানীয়ভাবে, সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকাকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার কিছুদিন পার হতে না হতেই ৭ অক্টোবর রাতে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ফোন করে ডেকে আনে তার নিজেদের দোকানে। প্রেমিকের পরিবার আজ সকালে দোকানের ভেতরে মেয়েকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে প্রেমিকের বাবা শাহ আলম ও তার খালা মেয়েটির গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গলায় ফাঁস পড়ে জ্ঞান হারালে তাকে মৃত ভেবে দোকানের সামনে রাস্তায় ফেলে দেয়।
স্থানীয়রা তাকে সড়কে পড়ে থাকতে দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চার ঘণ্টা পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। প্রেমিকার মা আক্ষেপ করে বলেন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত মোস্তফা জানান, রুবি বেগম নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে মারধর করেছে। বর্তমানে সে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন