প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাস্তবায়ন ঘটেছে। এতে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মসিকের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এ সভায় ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগরের পূজা উদযাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পূজামণ্ডপের আয়োজক কমিটির নেতারা অংশ নেন।
মসিক মেয়র বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে এরইমধ্যে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন সড়ক আলোকিতকরণসহ বিভিন্ন সড়কে চলমান উন্নয়নকাজ পূজার পূর্বে শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক রেকর্ড বৃষ্টিতে এ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও পূজার আগে এসব কাজ সমাপ্ত করা হবে।
মেয়র তার বক্তব্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৮টি পূজামণ্ডপের প্রতিটিতে আর্থিক সহযোগিতা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সহযোগিতার ঘোষণা দেন। এ ছাড়াও পূজা সুষ্ঠু উদযাপনে নারী-পুরুষের আলাদা লাইন করা, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা, ওয়ান টাইম প্লেট গ্লাস ড্রেনে না ফেলা, সড়কের কোনো বৈদ্যুতিক লাইন থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ না নেওয়া, প্যান্ডেল বানানোর জন্য সিটির কোনো সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সিটির ৫টি মণ্ডপকে সাজসজ্জা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়কে বিবেচনা করে পুরস্কৃত করবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। এ ছাড়াও তিনি জানান, এ বছরও কাচারি ঘাটে বিসর্জন ঘাট করা হবে। এজন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আসন্ন দুর্গোৎসব সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে উদযাপনের জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর উদযাপনে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রতিবারের মতো এবারও পাশে থাকবে।
মতবিনিময় সভায় মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী, প্যানেল মেয়র-১ মো. আসিফ আলী ডনসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, মসিক সচিব মো. আরিফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ময়মনসিংহ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী সন্ততানন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. রাখাল চন্দ্র সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন চন্দ্র দে, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রশান্ত কুমার রায় চন্দন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী রকেট, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র রঞ্জন রায়সহ সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৮টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন