মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি কয়েকজন উপকারভোগী। ধুলশুড়া ইউনিয়নের আইলকুন্ডি এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ১৪টি পরিবার বিদ্যুৎ ছাড়া দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিনে জানা যায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে ৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রায় পাঁচ মাস আগে জমি ও ঘর বুঝে পেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় প্রায় এক মাস আগে। এখনো ১৪টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে অন্ধকারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আছিয়া বেগম জানান, ‘আমরা তিন মাস ধরে এই ঘরে আসছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাগো জায়গা দিছে, ঘর দিছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না পাওয়ায় আমরা খুব অসুবিধার মধ্যে আছি। আইজ দেই, কাইল দেই করতে করতে তিন মাস পার হইয়ে গেছে। এখনো বিদ্যুৎ পাইলাম না। যে গরম! গরমে ঘরে থাকা কষ্টকর। বাচ্চা নিয়ে আমরা খুব অসুবিধায় আছি।’
সুফিয়া বেগম জানান, আমরা পাঁচ আগে এখানে এসেছি। ১৫ দিন আগে আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি। এখনো অনেক ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। সবাই একসঙ্গে বিদ্যুৎ পেলে ভালা হতো। যারা পায়নি তারা খুব কষ্টে আছে।
ধুলশুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জায়েদ খান জানান, পাঁচ মাস আগে থেকে একেক করে উপকারভোগীরা ঘরে উঠতে থাকে। এখনো অনেকেই ঘরে উঠেনি। তারাও উঠবে। এক মাস আগে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে তাদেরও পর্যায়ক্রমে সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান জানান, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংযোগ দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থেকে। সম্পূর্ণ নতুন করে লাইন বের করে এখানে সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রতিটি ঘরের ওয়্যারিং এর কাজটিও করেছে পল্লীবিদ্যুৎ। সব মিলিয়ে কাজ করতে বেশ সময় লেগেছে। অনেক উপকারভোগী এখনো ঘরে উঠেনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো সংযোগ দেওয়ার। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহারিয়ার রহমান জানান, সব ঘরেই সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব উপকারভোগীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিদ্যুৎ অফিসে জমা দেয়নি, তারাই হয়তো বিদ্যুৎ পায়নি। অফিসে কাগজপত্র জমা দিলে তারাও পেয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন