পাবনার সাঁথিয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের ‘খ’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক হারুন ও তার ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে ৪০/৪৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যন হাফিজের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকাবীরা বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ ও তার ভাইদের বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের মা সাজেদা খাতুন (৭০), বাবা ইউনুস মোল্লা (৭৫), চাচা আলতাব মোল্লা, ভাবি হাসি বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে জখম করে।
চেয়ারম্যানের মা সাজেদা বেগম বলেন, আমি মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য অজু করে ঘরে যাচ্ছি এমন সময় লাটিসোঁটা নিয়ে ৩/৪ জন আমাকে হাফিজের কথা জিজ্ঞাসা করতেই অশ্লীল ভাষায় গালঅগাল করে আমাকে মারপিট করে এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমার হাতটা ভেঙে দিয়েছে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে জানান, গত শনিবার বিকেলে সোনাতলা গ্রামে জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আ.লীগের একটা মিছিল ছিল। মিছিলটি চেয়ারম্যান হাফিজের বাড়ির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ি থেকে মিছিলে ইটপাটকেল মারে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ওখানে গেছে কিনা আমি জানি না।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন এবং আমি একই রাজনৈতি সংগঠন করি। গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সে আমার বিরুদ্ধে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা সময় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে শান্তি মিছিলের নামে লাঠি মিছিল করে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও থানা পুলিশ মামলা রুজু করেনি।
সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন