বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে সাভার, আশুলিয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা। এর মাঝে গত ৭ নভেম্বর নূন্যতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে আবারও বিক্ষোভে নামে তারা। এসবের জেরে শনিবার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৬০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আজ ৫৯টি কারখানা ছাড়া বাকিগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম এসব তথ্য জানান।
সরেজমিনে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জামগড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার বেশ কিছু কারখানার ফটকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ লাগানো রয়েছে। সড়কে সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ ছাড়া আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১, ঢাকা জেলা পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর সদস্যদের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা যায়।
এদিকে গত কয়েক দিনে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী কারখানার কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১২টি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শনিবার শুধু আশুলিয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক কারখানা বন্ধ ছিল। ধামরাইসহ সাভার আশুলিয়ায় মোট কারখানা বন্ধ ছিল ১৩০টি। আজ শুধু আশুলিয়ায় ৫৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ৮টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিচ্ছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে দ্রুতই অন্যান্য কারখানাও খুলে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন