কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কলাপাড়ায় নড়বড়ে ২ হাজার মিটার বেড়িবাঁধ

সোনাতলা নদীতীরে অরক্ষিত বেড়িবাঁধ। ছবি : কালবেলা
সোনাতলা নদীতীরে অরক্ষিত বেড়িবাঁধ। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোনাতলা নদী। এই নদীর কোল ঘেঁষে আছে ৬টি গ্রাম। এই গ্রামের মূল বেড়িবাঁধের দুই হাজার মিটার নড়বড়ে অবস্থা। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব বেশি হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে চেনা জনপদ মুহূর্তে পরিণত হবে অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে। পানির স্রোত আর বাতাসের তীব্রতায় সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হতে সময় নিবে না।

স্থানীয়দের দাবি, ভাঙা বেড়িবাঁধের টিকসই উন্নয়ন। বছরের পর বছর জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে ভেঙে পানি প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। নষ্ট হয় শত শত একর ফসলি জমি। এখন আর জোড়াতালির কাজ চান না।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলা গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, মূল বেড়িবাঁধ নাই। কিছু কিছু যায়গায় বাঁধ থাকলেও তা অর্ধেক আছে। যে কোনো মূহুর্তে ভেঙে বিলীন হয়ে যাবে যদি ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানে। আতঙ্ক আর হতাশা নিয়ে বেঁচে আছে এ এলাকার মানুষ। এ ছাড়াও বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় কলাপাড়ার ধুলাসার, লালুয়া, মহিপুর, লতাচাপলী ও চম্পাপুর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাইরে সাগর ও নদীর তীর ঘেঁষে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় তিন হাজার পরিবার বসবাস করছে।

গৈয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আরিফ বিল্লাহ জয় বলেন, আমরা যে কোনো ঝড় বন্যায় আতঙ্ক নিয়ে থাকি। সাধারণ জোয়ারে পানি ভিতরে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা ত্রাণ চাই না, এখন আর বাঁচার অধিকার চাই। শক্ত ও টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

একই এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, শক্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করে দিলে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারতাম। যে কোনো হালকা বাতাসে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আমরা আর কত অপেক্ষা করলে বেড়িবাঁধ হবে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন ওলীদ বলেন, আমরা অনেক বেড়িবাঁধ ইতোমধ্যে মেরামত করে ফেলছি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গৈয়াতলার কিছু এলাকায় ভাঙন আছে তাও শিগগিরই মেরামত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি

এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

ক্যাশমেমো নেই, খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দাম কাঁচামালে

রামপুরায় ভবনের ৬ তলা থেকে পড়ে রডমিস্ত্রির মৃত্যু

কুড়িয়ে পাওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ভ্যানচালক

বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধার / ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে, ধারণা পুলিশের

ওসির বদলির খবরে মোহাম্মদপুর থানার সামনে মিষ্টি বিতরণ স্থানীয়দের

বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন 

সিপিএলে ইতিহাস গড়ে ফ্যালকনসকে জেতালেন সাকিব

১০

নতুন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন / মাত্র ১০০ টাকায় করা যাবে দক্ষতা, চাকরি কিংবা ভর্তি প্রস্তুতির কোর্স

১১

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন 

১২

বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৩

টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবির ভিসি

১৪

৬৪ জেলার নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি

১৫

ম্যানইউর জয়হীন ধারা অব্যাহত, এবার ফুলহামের মাঠে ড্র

১৬

ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা-পেশাজীবীদের নিয়ে ‘আগামীর পথ’ অনুষ্ঠিত

১৭

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের অনন্য কীর্তি

১৮

জুলাই যোদ্ধা শহীদ তানভীরের চাচা খুন

১৯

ভরা জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয়, শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থী

২০
X