বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের সমর্থকদের মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে এবার মনোনয়ন পাননি পঙ্কজ নাথ। মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
পঙ্কজ সমর্থকদের অভিযোগ, শাম্মীকে প্রার্থী ঘোষণার পর রাত থেকে তাদের ওপর হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর শুরু হয়।
হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে তার একটি ও তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির বেপারি এবং ইউপি সদস্য জসিম মোল্লার ইটভাটায় হামলা চালানো হয়। একই সময়ে কাশেম হাওলাদারসহ কয়েকজনের দোকান ভাঙচুর করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পঙ্কজবিরোধী গ্রুপের নেতা হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিলনের ছেলে মাহিন।
হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, রোববার রাতে খুন্না বাজারে তার নির্মাণাধীন ভবনের পাশে টিনের ঘর ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদারের সঙ্গে তার বিরোধ থাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে। একই রাতে পঙ্কজ সমর্থক বান্দেরহাট বাজারে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ কাজীর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি টিপু সিকদার বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। এনায়েত হাওলাদারের ঘরে হামলার ঘটনা মিথ্যা।
এদিকে পঙ্কজ সমর্থক মেহেন্দীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর মনির জমাদ্দার জানান, স্টিমার ঘাট-সংলগ্ন স্পিডবোট ঘাটের তিনি বৈধ ইজারাদার। রোববার রাতে শাম্মী আহমেদের সমর্থকরা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার চারটিসহ মোট সাতটি স্পিডবোট ঘাট তালা মেরে আটকে রাখা হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানরত পঙ্কজ নাথ বলেন, ‘রোববার রাত থেকে একের পর এক হামলার খবর পাচ্ছি। দুই উপজেলায় এ পর্যন্ত ২০০ হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
শাম্মী আহমেদের সমর্থক মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান বলেন, কোথাও কোনো হামলা হয়নি। সব পঙ্কজ নাথের সাজানো নাটক।
মন্তব্য করুন