মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বাজারে আসা নতুন কন্দ পেঁয়াজ (শাখা বা মুড়িকাটা) বিক্রি করে দামে কৃষক লাভবান হলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। বর্তমান ১ কেজি নতুন কন্দ পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। আর পুরাতন হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে পুরোই হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান একাধিক ক্রেতারা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ কাঁচামালের আড়ৎ ঝিটকা বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, কন্দ পেঁয়াজ (শাখা বা মুড়িকাটা) পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৬শ থেকে ২৯শ টাকা দরে। আর পুরাতন হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২শ টাকা থেকে ৪ হাজার ৬শ টাকা পর্যন্ত। খুচরা ব্যবসায়ীরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯০ টাকা থেকে ১শ টাকা পর্যন্ত আর পুরাতন হালি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
একাধিক ক্রেতাদের দাবি নতুন পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি হলে দামটা স্বাভাবিক হতো। কিন্তু সেখানে দাম প্রায় তিনগুণ বেশি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে সংসার চালাতে পুরোই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ঝিটকা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী পবন বলেন, দুই দিন আগে তো দাম আরও ছিল। এখন একটু কমতে শুরু করেছে। আমরা যখন যে দামে কিনি, ওই ভাবেই বিক্রি করি।
ঝিটকা বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে কৃষক পেঁয়াজ তুলতে না পারায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দুই দিন দাম একটু বেশিই গেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে বেশি বেশি আসায় এখন আবার কমতে শুরু করেছে। আরও কমবে। তবে আমরা ব্যবসায়ীরা লোকসানে আছি। এখান থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। মোকামে পাঠালেই দাম কমে যায়। তাই আমরা কিন্তু লাভবান না। লাভবান হলো কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, হরিরামপুর উপজেলায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে কন্দ পেয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যেই নতুন কন্দ পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে পুরোদমে কন্দ পেঁয়াজ আসলে এর দাম কমা শুরু হবে।
মন্তব্য করুন