আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সোজা পথে হাঁটবে। কোনো বাঁকা পথ বেছে নিবে না এ প্রতিষ্ঠানটি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাস দমনে এরই মধ্যে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। সেটিকে আরও জোরদার করা হবে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত কমিশনার জিহাদুল কবির, বিপিএম-সেবা, পিপিএম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
বিকেল ৫টায় মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, নগরবাসী পুলিশের কাছে যাতে নির্ভয়ে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি কমিশনারের কার্যালয়ও থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। দেখা করতে কোনো বাধা নেই। বিএমপিতে জিডি, মামলা, ক্লিয়ারেন্স নিতে পুলিশ কোনো টাকা নেবে না। এ জন্য মামলা বাড়ল কি কমল সেটা বিষয় নয়। জিডি নয়, অপরাধ হলেই মামলা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে একটি সাইবার ক্রাইম ইউনিট গড়ে তোলা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা নগরীতে অবৈধ যানবাহন রোধ, চাঁদাবাজি, নির্বাচনকালীন সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা হলো পুলিশের সহায়ক পেশাজীবী। অপরাধ দমনে তাদের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। আসন্ন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শৃংখলাপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারা যায় সে লক্ষ্যে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। এ ছাড়া বলেন, অপরাধ ও অপরাধীদের তালিকা করে দমন করা হবে। কমিউনিটি পুলিশকে শক্তিশালী করে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধ সামাজিকভাবেই নির্মূল করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হাসান মো. শওকত আলী, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ নজরুল হােসেন, উপপুলিশ কমিশনার (সিএসবি) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাকির হােসেন মজুমদার, পিপিএম-সেবা, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ ও সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো: আলী আশরাফ ভুঞা, বিপিএম-বার, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম-বার, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম, অপারেশনস অ্যান্ড প্রসিকিউশন) খান মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসপি (পদোন্নতি প্রাপ্ত) রুনা লায়লা ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এসএম জাকিরসহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
মন্তব্য করুন