টাঙ্গাইল-২ ও ঘাটাইল-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম।
এর আগে, (ভুয়াপুর-গোপালপুর) আসনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় ভুয়াপুর কাঁচা বাজারের পেছনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদার নির্বাচনী আলোচনা করা অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা করে অফিস ভাঙচুর করে। এতে একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অপরদিকে গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ঘাটাইল-৩ আসনে সংগ্রামপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়। সেখানেই ৫ জন আহত হয়।
গোপালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আমার কর্মীরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
ঘাটাইল-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান বলেন, আমার সংগ্রামপুর ইউনিয়নে দুটি অফিস ভাঙচুর করছে। এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং বরাবর আবেদন করছি।
ঘাটাইল-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. কামরুল হাসান বলেন, আমার এবং আমার কর্মী সমর্থকদের বলেছি আমরা কোনো অপরাজনীতির সঙ্গে জড়িত হব না। কাজেই আমাদের নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্নই উঠাতে পারবে না। আমি নিজে একজন শিক্ষক। সেখানে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য না।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, দুটি আসনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এ ছাড়াও ঘাটাইল আসনের দুটি প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে কথা দিয়েছে সুষ্ঠুভাবে আচরণবিধি মেনে কাজ করবে। অপরদিকে, গোপালপুরে আজ সারাদিন থানার ওসি ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করেছি। সেখানে তারা কঠোর নজরদারি করছে। দুটি আসনে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট তো আছেই। তা ছাড়াও আরও একজন করে মোতায়েন করেছি।
মন্তব্য করুন