বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও আলহাজ শেখ ও জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া আদিল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জেলা যুবলীগের মতবিনিময় সভা চলছিল। সভা চলাকালে শহরের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জনির সঙ্গে এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি হোসেনের তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলহাজ শেখ ও জাকারিয়া আদিলের মধ্যে বাগবিতণ্ডা থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ভিডিও করতে গেলে দেশ টিভির ক্যামেরা পার্সন হাফিজ আল নয়নকে মারধর করে যুবলীগ কর্মীরা। এক পর্যায়ে তার ক্যামেরা ভাঙচুর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই গ্রুপকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া নিয়ে আলহাজ শেখ বলেন, আমি পৌরসভার প্যানেল মেয়র এবং ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আমার এলাকায় জায়গা জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় জাকারিয়া আদিলের কর্মীরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তার জের ধরে শনিবার বিকেলে তাদের মারধরে হোসেন, স্বপন ও শামিম নামের যুবলীগের তিন নেতাকর্মী আহত হয়।
জাকারিয়া আদিল বলেন, অবৈধভাবে কোনো জায়গা-জমি দখল করতে যাওয়া হয়নি। বরং আলহাজ শেখের নির্দেশে একটি জায়গার সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার কোনো কর্মীকে মারধর করা হয়নি।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুজন মিঞা বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ ও আদিল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মন্তব্য করুন