সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ এএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নৌকার পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ায় যুগ্ম সচিবকে শোকজ

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে অভিযুক্ত যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার। ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে অভিযুক্ত যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লায় নৌকার এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে এক যুগ্ম সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইফুর রহমান সাক্ষরিত চিঠিতে আগামী সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার মধ্যে যুগ্ম সচিবকে সশরীরে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা হয়েও কিবরিয়া মজুমদার গত ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ২৫ ডিসেম্বর জগন্নাথদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত পায়েরখোলা এলাকার নির্বাচনী সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন। তার অধীনস্থ কর্মচারী আবুল কাশেমের মাধ্যমে নৌকার একজন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও নৌকা মার্কায় ভোট চান। যার ভিডিও ক্লিপ ও কয়েকটি স্থিরচিত্র অনুসন্ধান কমিটির নিকট সংরক্ষিত আছে। ২৬ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হয়। যুগ্ম সচিবের এ কার্যাবলী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১৪(১) ও (২) ধারার লঙ্ঘন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব কিবরিয়া মজুমদারের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের কোরকরা গ্রামে। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ওই এলাকায় তার বাড়ি। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে নির্বাচনী সমাবেশের মঞ্চে বসানো হয়।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১০

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১১

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১২

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৩

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৪

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৫

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

১৬

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১৭

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১৮

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১৯

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

২০
X