দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় আমদানি করছেন না বলে তারা জানিয়েছেন। সোমবার (৩ জুলাই) আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হয়নি।
দেশের বাজারে দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত ২৫ জুন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই মোতাবেক ২৬ জুন থেকেই বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। এদিন বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ২৭ টন ১৬৬ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়। এসব মরিচ বন্দরে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছিল।
এদিকে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, দেশের বাজারে আবারও দাম বাড়লে অথবা ভারতের বাজারে দাম কিছুটা কমলে ফের কাঁচামরিচ আমদানি শুরু করবেন।
হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কাঁচামরিচের যে দাম রয়েছে; তাতে ভারত থেকে আমদানি করলে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা লোকসান গুনতে হবে। এখন ভারতের মোকামে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ রুপিতে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া কাস্টমসে শুল্ক, বন্দর চার্জ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যয় হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ফলে ভারত থেকে ১ কেজি কাঁচামরিচ আমদানিতে মূল্য দাঁড়াচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সংগনিরোধ রোগতত্ত্ববিদ শামীম আহমেদ বলেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ১১ জন আমদানিকারক ৪ হাজার ২০০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আমদানি করা মরিচ পরীক্ষা শেষে দ্রুত সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত খালাস করে নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন