দেশের উত্তরের নদ-নদীবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধায় ঘনকুয়াশার দাপট আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ৬ দিনে সূর্যের দেখা না মেলায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। আর ঠান্ডা নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় গাইবান্ধা জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠান্ডার প্রকোপ এতটাই বেশি যে শীত নিবারণ করতে আগুন পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে। আর ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কর্ণিপাড়ায় আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে জবা রানী (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার।
দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রার সমান হওয়ায় সারা দিনই ঠান্ডা বেশ অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষ কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন তারা। হাটবাজার থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বিকেলের আগেই ঘরে ফিরতে দেখা যায় অনেককেই। কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে শীতের তীব্রতা। কাহিল হয়ে পড়েছেন তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চরের মানুষগুলো।
এদিকে, তীব্র ঠান্ডায় বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। এদের মধ্যে মধ্যে পাতলা পায়খানা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও অ্যাজমায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল কালবেলাকে জানান, ঠান্ডায় দরিদ্র মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য ইতোমধ্যেই প্রায় ৬ হাজার মানুষকে কম্বর বিতরণ করা হয়েছে এবং তা আব্যাহত থাকবে।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান কালবেলাকে জানান, প্রতিদিনই গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা কমে আসছে। আজ চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান পরিস্থিতি কিছুটা কমে আরও কমপক্ষে ২ দিন চলার সম্ভাবনা আছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মেঘের আনাগোনা শুরু হতে পারে ও নামতে পারে বৃষ্টি।
মন্তব্য করুন