লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে প্রকাশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে সদর থানায় পৃথক এ মামলাগুলো করা হয় বলে সদর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন।
মামলা তিনটির মধ্যে একটি ডাকাতির ঘটনায়, আরেকটি বিস্ফোরক আইন এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনা আইনে।
বিস্ফোরক ও সড়ক দুর্ঘটনা আইনে করা দুই মামলায় বাদী হয়েছে পুলিশ। আর ডাকাতি মামলার বাদী হয়েছেন প্রান্ত কর্মকার নামের এক ব্যক্তি।
তিন মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন- বরগুনার খস্নিছড়া গ্রামের সজীব (২৮), নরসিংদীর বাগবাড়ী গ্রামের রনি মুনসুর (৪০) ও চট্টগ্রামের চাদগাঁও আবদুর রব সড়কের মো. বিল্লাল হোসেনসহ (৩৬) অজ্ঞাত আরও ২৪ জন।
ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে ৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ‘আর কে শিল্পালয়’ নামে সোনার দোকান থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে। এ সময় দোকান মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সে সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ককটেল উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
এদিকে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের বহন করা পিকআপভ্যানটি ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাদের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সফি উল্যা (৬০) নামের এক পথচারী নিহত হন। আহত হন ইসমাইল হোসেন নামের আরও এক পথচারী।
সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাত দলের সদস্য সজীব ও মনসুর নামের দুইজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে সজীবের বাড়ি বরগুনা এবং মনসুরের বাড়ি নরসিংদী।
মন্তব্য করুন