মেহেরপুর পৌর শহরের স্টেডিয়াম রোড মোড়ে মোস্তাক পান স্টলের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। তিনি প্রায় ২৬ বছর ধরে পান বিক্রি করছেন। সময়ের সাথে তার ব্যবসায় সফলতার জন্য পানে এনেছেন নানা বৈচিত্র্য। এখন তিনি প্রতি মাসে শুধু পান বিক্রি করেন প্রায় ২ লাখ টাকার। এ থেকে যে মুনাফা হয় তাতে সংসার চালিয়ে কিছু সঞ্চয়ও করেন তিনি।
মেহেরপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এমন কী যশোর থেকেও অনেকে শখের বশে পান খেতে আসেন মোস্তাকের কাছে।
সময়ের বিবর্তনের সাথে কাঠের টং দোকান থেকে পাকা হয়েছে মোস্তাকের পানের দোকান। নানা নামে নামকরণ হয়েছে মোস্তাকের দোকানের পানের। যেমন আগুন পান, আইস পান, চকোলেট পান, গোল্ডেন পান, বেনারসি পান, শাহি পান, কাশ্মীরি পান, জামাই-বউ পান, ভালোবাসার পান, হানিমুন পান আরও কত কী।
বাহারি রংয়ের মসলাযুক্ত এ পান মানুষের নজর কাড়ছে। প্রায় শতাধিক পদের উপকরণ দিয়ে তৈরি মিষ্টিযুক্ত আগুন পানের স্বাদ নিতে তরুণ-তরুণীরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করলেও বাদ যায় না বৃদ্ধ ও শিশুরাও। মুখে দেওয়ার আগে পানে আগুন জ্বেলে দেওয়া হয় বলে এর নামকরণ হয়েছে আগুন পান।
পানে কী মসলা ব্যবহার করেন এমন প্রশ্ন করতেই মুচকি হেসে মোস্তাক বলেন, পান এখন আর কেবল চুন, সুপারি, খয়ের আর জর্দা ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নেই, ব্যবহার হয় বাহারি মসলার। তারপর এক নিশ্বাসেই অর্ধ শতাধিক স্বাদ বৃদ্ধিকারী মসলার নাম বলে ফেলেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম চমন-বাহার, এলাচ, তরক, ইমাম, নারিকেল, কিসমিস, মোরব্বা, খেজুর, খোরমা, তানশিন, তেরেঙ্গা, সেমাই, ঝুড়া, বিভিন্ন ধরনের জেলি ও সস ইত্যাদি।
মোস্তাক আরও বলেন, এসব মসলার কয়েকটি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আর এই বাহারি মসলার স্বাদের কারণেই তার দোকানে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সেরই মানুষ ভিড় জমায়।
মন্তব্য করুন