লক্ষ্মীপুরে চার পরিবারের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে গণেশ চন্দ্র দাস নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা মান্দারী ইউনিয়নের মটবি গ্রামে দাস বাড়িতে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ওই জমিকে নিজের দাবি করে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন গণেশ চন্দ্র দাস নিজেও।
অভিযুক্ত গণেশ চন্দ্র দাস সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৃত কুমথ চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে রতন চন্দ্র দাস জেলা শহরের একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করেন। আর সমির চন্দ্র দাস সদর উপজেলার বটতলি বাজারের সেলুন দোকানি, রবি চন্দ্র দাস কাঠমিস্ত্রি ও খোকন চন্দ্র দাস ওমান প্রবাসী। গেল বছর ২৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা গণেশ বাঁশের বেড়া দিয়ে তাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা জানায়, ভুক্তভোগী রতন, খোকন, রবি ও সমির আপন ভাই। তারা ওই বাড়ির মৃত কানু লাল দাসের ছেলে। প্রায় ২০ বছর ধরে বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়েই তাদের চলাফেরা। হঠাৎ করে গণেশ তাদের ওই রাস্তায় বেড়া দিয়ে দেয়। এতে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এখন বাঁশের বেড়া ঘেঁসেই স্থানীয় নুরুল আমিনের পুকুরপাড় দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। শিশু ও স্কুলপড়ুয়া সন্তানরা পুকুরপাড় দিয়ে চলাচল করতে ভয় পায়। এমন অবস্থায় বেড়াটি দ্রুত অপসারণ জরুরি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গণেশ তার ভবন থেকে বাঁশ দিয়ে সরকারি সড়ক ঘেঁসেই প্রায় ৬০ ফুটের লম্বা বেড়া দেয়। এর মধ্যে প্রায় ২ ফুট প্রশস্ত রেখে লম্বায় ৮-১০ ফুট জমিতে দু’পাশে বেড়া দেখা যায়। মাত্র ২-৩ ফুট প্রশস্ত জমি নিজের দাবি করে আসছেন গণেশ।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সমির চন্দ্র দাস বলেন, গণেশ তাদের প্রতিবেশি। তিনি সরকারি রাস্তার ওপরেই ঘরের সিঁড়ি নির্মাণ করেছেন। তার ঘরের উত্তর পাশে আমাদের ঘর-বাড়ি। আমাদের জমি দিয়েই আমরা প্রায় ২০ বছর ধরে চলাফেরা করছি। প্রায় ৩ মাস আগে হঠাৎ করে তিনি সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন। দলীয় প্রভাব থাকায় তিনি কারো কথা শুনছেন না। ঘটনাটি আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি।
গণেশ চন্দ্র দাস বলেন, আমার জমিতেই বাঁশের বেড়া দিয়েছি। তারা যদি মনে করে তাদের জমি। তাহলে জমি পরিমাপ করে নিয়ে যাক। আমার কোনো সমস্যা নেই। এখান দিয়ে তাদের কোনো রাস্তা ছিল না।
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী বলেন, ৪টি পরিবারের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগটি পেয়েছি। ব্যস্ত থাকায় তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারিনি। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনাটি মীমাংসা করা হবে। প্রয়োজন হলে আমি নিজেও ঘটনাস্থল গিয়ে ঘটনাটি খতিয়ে দেখবো।
মন্তব্য করুন