বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ পাওয়া গেছে। জব্দ করা হয়েছে দুটি ট্রলার। টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে এ সফলতা পায় র্যাব। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মো. করিম (৩৩), মো. জাফর (৩৫), শফি (৪০), আ. রহিম (২৫), মো. শওকত (৩৭), মো. ইসমাইল (২৬), নুর মোহাম্মদ (১৭), আব্দুর রহিম সিকদার (৩৪), মো. মফিজুর রহমান (৩০), ফজল হক (৪০), মো. কাছেদ (১৯), মো. আকিদ খান (৩৭), মো. হারুন (৪৪), মো. ইয়াছিন (২৯), মো. খলিলুর রহমান (২৫), মো. ইকবাল হোসেন (২৪), মো. শাহেদ (২২), মো. হোসেন (২৭), মো. আলী হোসেন (২৪), আব্দুল মান্নান (৪০), মো. সোলায়মান (৩৮), কক্সবাজার জেলার মো. রুবেল (৩৩) দেলোয়ার ইসলাম (৪২), মো. গিয়াস উদ্দিন (২৬), মো. দিদারুল ইসলাম (৩৩), মো. নাইম (১৯), ভোলা জেলার মো. শামীম (২১), মো. ইউসুফ (২৯), শাজাহান বেগম (৩৭) ও মো. সাহাব উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে র্যাব অভিযানে নামে। এতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে দেশে তৈরি আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি কার্তুজসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিল।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা ও বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চলে সাগরে জেলেদের অত্যাচার, চাঁদাবাজি এবং অপহরণসহ বিভিন্ন অন্যায় কাজ করতেন। তাদের প্রত্যেকের নামে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন