মৌলভীবাজারের রাজনগরে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে দুই শতাধিক একর বোরো জমি। বৃষ্টি ও চা বাগানের টিলা জমির পানি আখালি ছড়া দিয়ে দ্রুত হাওরে না যাওয়ায় দত্তগ্রামের পূর্বের বকউড়া বিলের এসব জমি তলিয়ে গেছে।
কর্ণিগ্রামে ইটভাটার মাটি টানার জন্য ছড়ায় বাঁধ দেওয়ার ফলে এই পানি জমেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এই বাঁধের কারণে বৃষ্টি ও টিলার পানি দ্রুত নামতে পারছে না। এতে ওই বিলের দুইশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, এক বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এসব জমির অনেকে বর্গা চাষি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি না নামলে পাতায় পলি জমে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে।
কৃষকরা আরও জানান, রাজনগর চা বাগানের পূর্ব থেকে উৎপত্তি হয়ে কাউয়াদীঘি হাওরে গিয়ে শেষ হয়েছে আখালি ছড়া নদী। বৃষ্টি ও চা বাগানের টিলার পানি এ ছড়া দিয়ে কাউয়াদীঘি হাওরে নামে। কিন্তু গত দুদিনের বৃষ্টি ও চাবাগানের টিলার পানি আখালি ছড়া দিয়ে দ্রুত না নামায় তলিয়ে গেছে টেংরা-চৌধুরীবাজার সড়কের পাশে মাথিউড়া চা বাগানের পশ্চিমের বকউড়া বিলের বোরো ক্ষেতের জমি। বৃষ্টির পানি দ্রুত না নামার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি, ছাড়ার নিচের অংশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের নিচে পাইপ থাকেলও পানি নিষ্কাশনের জন্য তা যথেষ্ট নয়। এতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিলের শতাধিক বিঘা কৃষিজমি তলিয়ে গেছে।
বাঁধের বিষয়ে জানতে কর্ণিগ্রাম ইটভাটার মালিক আকমল মিয়ার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান জানান, বৃষ্টির পানি ও চা বাগানের টিলার পানি দ্রুত না নামায় বকউড়া বিলের বোরো জমি তলিয়ে গেছে। কর্ণিগ্রামের ইটভাটার মাটি টানার জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে ছড়ায়। এতে পানি দ্রুত নামছে না। আর পানি না নামলে এসব জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, এখানে পানি জমার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে খোঁজ নিচ্ছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাচ্ছি। পানি নামার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন