ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। নগরীর ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন। ভোটগ্রহণে ধীরগতি চলছে কেন্দ্রটিতে। এর কারণ ইভিএমে ভোটারদের আঙুলের ছাপ মিলছে না।
এমনকি আঙুলের ছাপ মেলাতে গিয়ে কেন্দ্রটির একটি ভোটকক্ষের ইভিএম বিকল হয়ে পড়ে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একটি বুথের ইভিএমে সমস্যা দেখা দিলে সাড়ে ১২টার দিকে সেটি সারিয়ে তোলা হয়। বুথটিতে ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। যাদের আঙুলের ছাপ মিলছে না তাদের পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রুমাল দিয়ে মুছে চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতেও কাজ না হলে বাড়ি থেকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে লেবু দিয়ে আঙুল ঘষে আসতে বলা হচ্ছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোট দিতে আসা রুনু দত্ত বলেন, ‘আঙুলের ছাপ উঠতে না চাইলে হাতে ভেজলিন লাগিয়ে টিস্যু ও রুমাল দিয়ে মুছে আবার ছাপ দেওয়া হয়। এতে কারও কারও মিলছে।’
সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘নতুন ভোটারদের ভোট দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বয়স্ক ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মেলায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ভেজলিন লাগিয়ে রুমাল দিয়ে আঙুল মুছে ছাপ মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বুথে আঙুলের ছাপ না মেলায় একজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে প্রিমিয়ার আইডিয়াল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন আনোয়ার বেগম। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ না মেলায় তারা সমস্যায় পড়েন। এতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে অনেকটা ধীর গতিতে।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীর গতি নিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী ইকরামুল হক বলেন, অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে। একজন ভোটার ২ থেকে ৩ বার যদি এই বিড়ম্বনায় পড়ে তাহলে ভোটার উপস্থিতিতে প্রভাব পড়তে পারে। বিষয়টির ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি নিজে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরেছি। অনেক মানুষের আঙুলের ছাপ ঠিক নেই। এ সমস্যাটি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। ভোটারদের সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন