জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ওই কলেজের এক শিক্ষকের ধমকানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের মধ্যে একজনকে ভিডিও করতে দেখেও ওই শিক্ষক তাকে ধমক দেন। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ধমক দেওয়া শিক্ষক ওই কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ নিয়ামুল হক। আর ওই ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম তন্ময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বায়ান্ন সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়সহ অন্যদের ধমকাচ্ছেন। তুই-তুকারি করে কথা বলতে দেখা গেছে। টেবিল চাপড়ে তিনি বলছেন, পলিটিকস আমিও করছি, বের হয়ে যা।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় কিছু বলতে চাইলে তাকে বলার সুযোগ না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন ওই শিক্ষক। জানতে চান সে ছাত্রদের অভিভাবক কি না?
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. নিজামুলসহ অন্য কয়েক ছাত্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তন্ময় কালবেলাকে জানান, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দুই সাধারণ শিক্ষার্থী নাইফ ও রাকিবের ইনকোর্স পরীক্ষায় বসতে না পারায় সুপারিশ করে কলেজ ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক নিজামুলকে পাঠানো হয়। ক্লাস উপস্থিতি কম থাকা ছাত্রদের প্রতি জনকে পাঁচশ টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ টাকার কোনো রিসিট দেওয়া হয় না। এ জরিমানা মওকুফের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে পাঠানো হয়। বিভাগীয় প্রধান ওই শিক্ষক নিজামুলকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। তার ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেন।
এরপর সাড়ে বারোটার দিকে তন্ময় ওই বিভাগে গেলে বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর নিয়ামুল হক তার সঙ্গেও একই আচরণ করেন বলে জানান তিনি।
তন্ময় বলেন, স্যার আমার কোনো কথা শুনতে চাননি। আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে যা তা আচরণ করেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর সৈয়দ নিয়ামুল হক বলেন, ছাত্রদের শাসন করা কি শিক্ষকের অধিকার নাই? এটা নিউজ করার মতো কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন