গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অভিযোগ

গুরুদাসপুরে ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রস্তুতির অভিযোগে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
গুরুদাসপুরে ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রস্তুতির অভিযোগে মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

নাটোরের গুরুদাসপুরে ২০ বিঘা ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রস্তুতির পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২২মার্চ) সকাল এর প্রতিবাদে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী মৌজায় কুমারখালী উত্তরপাড়া মাঠে মানববন্ধন করে গ্রামবাসী। এতে এলাকার কৃষকসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

পুকুর খননের উদ্দেশ্যে শষ্য ক্ষেতে সপ্তাহখানেক ধরে সেচ সুবিধা বন্ধ করে রেখেছিলেন প্রভাবশালীরা। তবে স্থানীয় কয়েকশ কৃষকের প্রতিবাদের মুখে তিন ফসলি এসব জমিতে পুকুর খননের প্রস্তুতি ভুণ্ডল করে দিয়েছেন ইউএনও মোছা. সালমা আক্তার।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি সরেজমিনে ফসলের ক্ষেত পরিদর্শন করতে গিয়ে বোরো ধান, ভুট্টা, ধনিয়া এবং রসুনের জমিতে সেচ সচল করেন। তাৎক্ষণিক পাশের বরেন্দ্রের স্কিম থেকে ফেটে চৌচির হওয়া বোরো ক্ষেতে পানি দেওয়া হয়। এতে প্রাণ ফিরে পায় ধান গাছগুলো।

এর আগে পুকুর খনন না করার দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফসলি জমির ভেতর দাঁড়িয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয় কয়েকশ কৃষক। কুমারখালী মাঠে জমি থাকা জমসেদ আলী, মুঞ্জুর আলম, সোলায়মান আলী, শাজাহান আলী, আব্দুল কাদেরসহ অন্তত ২০ জন কৃষক বলেন, গ্রামের মৃত সদর উদ্দিন মণ্ডলের দুই প্রভাবশালী ছেলে আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মমিন নিজেদের দশ বিঘাসহ পাশের আরও দশ বিঘা জমিতে পুকুর খননের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ কারণে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বোরো ধান, রসুন এবং ভুট্টা ক্ষেতে সেচ বন্ধ ছিল।

কুমারখালী উত্তরপাড়া বিলে অন্তত ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। সেসব জমিতে ধান, পাট, ভুট্টা, রসুন, ধনিয়াসহ সব ধরনের শষ্য চাষাবাদ করা হয়। প্রভাবশালীরা বিলের মুখে ২০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করলে আশপাশের অন্তত ৫০ বিঘা জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি কৃষকদের মাঠে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। সার-বীজ বা চাষের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হবে কৃষকদের। তাই তারা তিন ফসলি এসব জমিতে পুকুর খনন চান না।

পুকুর খননের প্রস্তুতি নেওয়া আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মমিন বলেন, নিজেদের লিজ দেওয়া দশ বিঘা জমিসহ পাশের আরও দশ বিঘা জমিতে তারা পুকুর খননের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ কারণে ফসলের ক্ষেতে সেচ কাজ বন্ধ করা হয়েছিল।

ইউএনও মোছা. সালমা আক্তার মেঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, কুমারখালী বিলের বোরো ক্ষেতে সেচ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় পুকুর খনন চক্রের লোকজন। খবর পেয়ে তিনি মাঠে গিয়ে ক্ষেতে সেচ সুবিধা চালু করে দিয়েছেন। একই সাথে তিন ফসলি এসব জমিতে পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তবে পুকুর খননের প্রস্তুতি নেওয়া ব্যক্তিদের না পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মারাত্মক আর্থিক সংকটে বিচারপতি মানিক, বিক্রি করে দেন বই : আইনজীবী

হিরো আলমের ওপর হামলা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে পুসাবের বৈঠক

বিদেশে পাঠানোর ফাঁদে মানুষকে ‘পথে বসানো’ সেলিম গ্রেপ্তার

ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ গড়তে এনসিপি কাজ করছে : সারজিস

সারা দেশে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ভারতের ভিসা নিয়ে যে তথ্য দিলেন হাইকমিশনার

হাজত থেকে পালানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ সম্পন্ন

ক্যাম্পাসে চাকসু নির্বাচনের উন্মাদনা, ১ মাস ধরে হাসপাতালে ইমতিয়াজ-মামুন

১০

ঘরের চারদিকে দুর্গন্ধ, দরজা খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক দৃশ্য

১১

ইসলামী ব্যাংকের ২০০ কর্মী ছাঁটাই, ৪৯৭১ জনকে ওএসডি

১২

করোনা পরবর্তী সময়ে যুবকদের মধ্যে হৃদরোগ বাড়ছে

১৩

হংকং ম্যাচ নিয়ে যা বললেন জামাল

১৪

তারেক রহমানের পক্ষে ৪৫টি মণ্ডপে সহায়তা দিলেন সেলিম

১৫

ব্র্যাক ব্যাংকের নীলফামারী অঞ্চলে এজেন্ট মিট আয়োজন

১৬

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

১৭

প্রবাসীর দেওয়া পাথরে নতুন পথ নোয়াপাড়ার মানুষের

১৮

ভারতে ঢুকতে বিদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম

১৯

স্মারক রৌপ্যমুদ্রার নতুন দাম নির্ধারণ

২০
X