ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জ্বরের রোগীকে মাথার এক্স-রে দিল ডাক্তার’

রোগীকে দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন। ছবি : কালবেলা
রোগীকে দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন। ছবি : কালবেলা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বৈশাখী বড়ালের বিরুদ্ধে টেস্ট বাণিজ্য ও রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জ্বরের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মাথার এক্স-রেসহ ছয়টি টেস্ট দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ বিষয়ে আবিয়ান হাসান নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঝালকাঠি জেলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি গ্রুপে পোস্ট করে এ কথা জানান।

পোস্টে আবিয়ান হাসান উল্লেখ করেন, ‘ডাক্তার বৈশাখী বড়াল আপনাকে নিয়ে আজকে লিখতেই হলো, ৩-৪ দিন যাবত আমার ছোট ভাইয়ের হালকা জ্বর, অরুচি ও হালকা বমি। এই হচ্ছে তার সমস্যা। এ ছাড়া কোনো সমস্যা নেই। শনিবার সকালে টিকিট কেটে ডা. বৈশাখী বড়ালকে দেখাই। তারপরে তিনি ৫-৬টা টেস্ট দিলেন। তাও কিনা আবার মাথার এক্স-রে। অথচ মাথায় কোনো সমস্যা নেই। তাহলে এক্স-রে কিসের? তার সঙ্গে দিল ডায়াবেটিস টেস্ট। সেটাও বা কেন দিবে?

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিবিসি এবং টাইফয়েড টেস্টটা ঠিক আছে। এ ছাড়া বাকি টেস্টগুলো কিসের জন্য?। ডাক্তারের চেম্বারে পাশেই দাঁড়ানো ছিল এক মহিলা। তিনি নিয়ে গেল মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের জন্য। এরপর ভাই আমাকে জানায় এসব বিষয়ে। তখন আমি বলছি টেস্ট করতে হবে না আমার কাছে চলে আয়।

আমার কাছে আসার পরে ওরে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল জন্ডিস হয়েছে। তাহলে কথা হচ্ছে এই যে, ডায়াবেটিসের টেস্ট ও মাথার এক্স-রে, এগুলো কিসের জন্য? এরপরে আমি তাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি জানান জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিসের জন্য দুয়েকটা টেস্ট ও কিছু ওষুধ দিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্রামে থাকতে বলেছে।

সেই পোস্টে সাদিয়া সাবরিন নামে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে গেলেই একগাদা টেস্ট। এই বিড়ম্বনায় প্রত্যেকটা রোগী ও তার পরিবার হয়রানি হচ্ছে। আর একজন রোগী ও তার পরিবারও যেহেতু উদ্বিগ্ন থাকে যার ফলে অপ্রয়োজনীয় বুঝেও এসব টেস্টের প্রতিবাদও ডাক্তারের উপরে গিয়ে করতে পারে না। এর প্রতিকার আসলেই জানা নাই।

আফনান খান নামে আরেকজন লিখেন, তারা এমনটাই করে। যে কোনো সমস্যা নিয়ে যাক না কেন সবাইকে টেস্ট দিয়া দেয়। যেন তারা টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা করতে জানে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া উপহারের লোভে তারা এমন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল বলেন, আমার কাছে রোগী আসলে তার প্রয়োজনে টেস্ট দিয়েছি। রোগীরা যদি ডাক্তারের চেয়ে বেশি বুঝে তাহলে আমাদের কাছে আসার দরকার কী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১০

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১১

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১২

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৩

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৪

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৫

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৬

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৭

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৯

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

২০
X