বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জ্বরের রোগীকে মাথার এক্স-রে দিল ডাক্তার’

রোগীকে দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন। ছবি : কালবেলা
রোগীকে দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন। ছবি : কালবেলা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বৈশাখী বড়ালের বিরুদ্ধে টেস্ট বাণিজ্য ও রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া হাসপাতালে জ্বরের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে মাথার এক্স-রেসহ ছয়টি টেস্ট দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ বিষয়ে আবিয়ান হাসান নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঝালকাঠি জেলা কল্যাণ সমিতি’ নামে একটি গ্রুপে পোস্ট করে এ কথা জানান।

পোস্টে আবিয়ান হাসান উল্লেখ করেন, ‘ডাক্তার বৈশাখী বড়াল আপনাকে নিয়ে আজকে লিখতেই হলো, ৩-৪ দিন যাবত আমার ছোট ভাইয়ের হালকা জ্বর, অরুচি ও হালকা বমি। এই হচ্ছে তার সমস্যা। এ ছাড়া কোনো সমস্যা নেই। শনিবার সকালে টিকিট কেটে ডা. বৈশাখী বড়ালকে দেখাই। তারপরে তিনি ৫-৬টা টেস্ট দিলেন। তাও কিনা আবার মাথার এক্স-রে। অথচ মাথায় কোনো সমস্যা নেই। তাহলে এক্স-রে কিসের? তার সঙ্গে দিল ডায়াবেটিস টেস্ট। সেটাও বা কেন দিবে?

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সিবিসি এবং টাইফয়েড টেস্টটা ঠিক আছে। এ ছাড়া বাকি টেস্টগুলো কিসের জন্য?। ডাক্তারের চেম্বারে পাশেই দাঁড়ানো ছিল এক মহিলা। তিনি নিয়ে গেল মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের জন্য। এরপর ভাই আমাকে জানায় এসব বিষয়ে। তখন আমি বলছি টেস্ট করতে হবে না আমার কাছে চলে আয়।

আমার কাছে আসার পরে ওরে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল জন্ডিস হয়েছে। তাহলে কথা হচ্ছে এই যে, ডায়াবেটিসের টেস্ট ও মাথার এক্স-রে, এগুলো কিসের জন্য? এরপরে আমি তাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি জানান জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিসের জন্য দুয়েকটা টেস্ট ও কিছু ওষুধ দিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্রামে থাকতে বলেছে।

সেই পোস্টে সাদিয়া সাবরিন নামে একজন কমেন্ট করে বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে গেলেই একগাদা টেস্ট। এই বিড়ম্বনায় প্রত্যেকটা রোগী ও তার পরিবার হয়রানি হচ্ছে। আর একজন রোগী ও তার পরিবারও যেহেতু উদ্বিগ্ন থাকে যার ফলে অপ্রয়োজনীয় বুঝেও এসব টেস্টের প্রতিবাদও ডাক্তারের উপরে গিয়ে করতে পারে না। এর প্রতিকার আসলেই জানা নাই।

আফনান খান নামে আরেকজন লিখেন, তারা এমনটাই করে। যে কোনো সমস্যা নিয়ে যাক না কেন সবাইকে টেস্ট দিয়া দেয়। যেন তারা টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা করতে জানে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া উপহারের লোভে তারা এমন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক বৈশাখী বড়াল বলেন, আমার কাছে রোগী আসলে তার প্রয়োজনে টেস্ট দিয়েছি। রোগীরা যদি ডাক্তারের চেয়ে বেশি বুঝে তাহলে আমাদের কাছে আসার দরকার কী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১০

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১১

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১২

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৩

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৪

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৫

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৬

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৭

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৮

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৯

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

২০
X