সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অব্যবস্থাপনায় বিলীন হচ্ছে চলনবিলের অস্তিত্ব

পানিশূন্য হয়ে মরে গেছে চলনবিলের একটি খাল। ছবি : কালবেলা
পানিশূন্য হয়ে মরে গেছে চলনবিলের একটি খাল। ছবি : কালবেলা

ভরা বর্ষায় চলনবিলের বিস্তীর্ণ নদী-খাল কিংবা বিলে পাল তোলা নৌকায় গাঁয়ের বধূর বাপের বাড়ি যাওয়ার চিত্র এখন বিরল। স্বচ্ছ জলরাশির স্রোতে রুপালি ঝলকে খসল্লা-কাকিলা আর টেংরা-পুঁটির ছুটে চলার দৃশ্যও আর চোখে পড়ে না। আকাশে দেখা যায় না উড়ে চলা সাদা পালকের বকপাখির ঝাঁক। বিল প্রায় পানিশূন্য তাই দেখা মেলে না পানকৌড়ি আর মাছরাঙা পাখির।

দোয়েল, কোয়েল, চড়ই ও শালিকের দেখা মেলাও ভার। সংকুচিত হয়েছে চলনবিলের বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ সমুদ্রের ঢেউ। এমনই করুণ অবস্থায় অস্তিত্ব বিলীন হতে বসেছে উত্তরবঙ্গের শস্য ও মৎস্য ভান্ডার চলনবিলের।

অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও বাঁধ নির্মাণ, অবাধ পুকুর খনন, স্থাপনা নির্মাণ করে খাল-বিল-নদীর পানি প্রবাহের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমেই ধ্বংস হতে বসেছে দেশের সর্ববৃহৎ জলময় ভূভাগ চলনবিল। কয়েক দশকে চলনবিলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। পানিশূন্য হয়ে মরে গেছে বেশিরভাগ নদী ও খাল। নানা প্রতিকূলতায় বিলুপ্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ, পাখিসহ কয়েক ধরনের প্রাণী।

এক সময় মৎস্য, শস্য ও প্রাকৃতিক রত্নভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রূপে সজ্জিত হতো। গ্রীষ্মে দিগন্তজুড়ে সোনালি ধানের মাঠ। বর্ষায় সূর্যকিরণের প্রতিফলনে ঝিলমিলিয়ে উঠত বিস্তীর্ণ জলাভূমি। শরৎ ও হেমন্তে কৃষকের ডিঙি নাও ভরে ওঠে ছোট-বড় দেশীয় মাছে। শীতকালে সরিষা ফুলে ছেয়ে যাওয়া মাঠকে মনে হতো যেন হলুদের সমুদ্র। চলনবিলের এসব নৈসর্গিক দৃশ্য ধীরে ধীরে বিলীনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার দুই হাজার গ্রাম নিয়ে চলনবিলের অবস্থান। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনা নদী জন্মের সময় চলনবিলের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯০৯ সালে পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের জরিপ মতে প্রাচীন চলনবিলের আয়তন ছিল ১ হাজার ৮৫ বর্গ কিলোমিটার।

১৯১৯ সালে ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়ার হিসেব মতে, এ বিলের আয়তন ৫০০ বর্গমাইল বা প্রায় ১ হাজার ৪২৪ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪০ সালে পূর্ববঙ্গ রেলওয়ে প্রচার বিভাগের তথ্যমতে তখন এর আয়তন ছিল ৪৪১ বর্গ মাইল বা ৭০৫ বর্গ কিলোমিটার।

‘চলনবিলের ইতিকথা’ গ্রন্থ থেকে জানা গেছে, অতীতের চলনবিল ছিল বিশাল এলাকাজুড়ে। বিলটি বৃহত্তর পাবনা, রাজশাহী, নওগাঁ ও বগুড়া জেলার অধিকাংশ স্থানজুড়ে বিস্তীর্ণ ছিল। পদ্মা তীরবর্তী লালপুর থানা ব্যতীত নাটোর মহুকুমার সমগ্র অংশ চলনবিলের অংশ ছিল।

তখন বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রাম, পাবনার বেড়া, শাহজাদপুর (অংশ বিশেষ) ও নওগাঁর রাণীনগরসহ উল্লিখিত জেলাসমূহের মোট ১৪টি থানা বা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী আরও ২০টি উপজেলায় চলনবিলের প্রভাব ছিল।

এ বিলে ছিল খরস্রোতাসহ ছোটবড় ৩২টি নদী, ৯৩টি বিল ও ২৬টি খাল। এসব নদী-খাল ও বিলকে ঘিরে ছোট ছোট অসংখ্য উপনদী, উপখাল ও ছোট বিলও ছিল। নদীর মধ্যে বড়াল, আত্রাই, গুমানী, ইছামতি, করতোয়া, গোহালা, ভদ্রাবতী, বিলসূর্য, গুড়, কুমারডাঙ্গা, নন্দকুজা, গাড়াদহ, কাকন-কানেশ্বরী, সরস্বতী, মুক্তাহার, নাগর, বানগঙ্গা, ভাদাই, গদাই, শালিকা, কাটাগাঙ, তুলশীগঙ্গা, বারণী, ফুলজোড় ইত্যাদি ছিল।

খালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিমাইচড়া খাল, দোবিলা খাল, গোহালার খাল, কিশোরখালি খাল, বেহুলার খাড়ি, বাকাই খাড়ি, পানাউল্লার খাল, উলিপুর খাল, গুমানী খাল, কুমারভাঙ্গা খাল, গাড়াবাড়ি খাল ও কাটাবাড়ী খাল।

বিলের মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় বহু বিল রয়েছে। আশির দশকেও চলনবিলের বেশ কয়েকটি নদী ও খাল দিয়ে লঞ্চ, জাহাজ, স্পিড বোট চলাচল করত। পালতোলা নৌকা নিয়ে লোকেরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করত।

চলনবিলে রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল, বোয়াল, চিতল গজার, আইড়, গুজি, কৈ, পাবদা, সিলং, মাগুর, শিং, গোচি, বাইম, বাটা, খসল্লা, নন্দই, টাকি, চেলা, চাপিলা, পুঁটি, মলা, বাঁশপাতারি, বৌমাছ, বেলে, দেশী চাঁদা, মলা, ঢেলা, টেংরা, কাকিলা, চিংড়ি, বাতাসীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত।

পাশাপাশি কচ্ছপ, কুচিয়া, শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়াতে সমৃদ্ধ ছিল চলনবিল। এসব মাছের মধ্যে প্রায় ৮০ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক বিবর্তনের সঙ্গে বিলে ব্যাপকহারে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগে মাছসহ পরিবেশবান্ধব অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের নেতারা জানান, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার চলনবিলের বুকচিরে সিরাজগঞ্জ থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত রেলসড়ক নির্মাণ করার পর থেকেই স্বাভাবিক পানিপ্রবাহে ভাটা পড়ে। ২০০৩ সালে সিরাজগঞ্জের নলকা-বনপাড়া মহাসড়ক নির্মাণের পর চলনবিলের পানিপ্রবাহে আবারও ভয়াবহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

এ মহাসড়ককে ঘিরে অসংখ্য রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বাধাগ্রস্ত হয় বিলের পানিপ্রবাহ। এ ছাড়া খাল বা নদীর মুখ বন্ধ করে অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ হয়। ফলে পানির গতি বাধাগ্রস্ত হয়ে পলি জমে দ্রুত ভরাট হচ্ছে বিলের গভীরতা। আর নাব্য হারিয়ে সংকুচিত হচ্ছে বিলের আয়তন।

উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের চলনবিলের অস্তিত্বে সর্বশেষ আঘাত হেনেছে পুকুর খনন। যত্রতত্র পুকুর খনন করে পানিপ্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে। মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে বিস্তীর্ণ চলনবিলে অন্তত ৮/১০ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, চলনবিলের প্রধান নদী বড়াল। ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদীটি পদ্মা থেকে উৎপন্ন হয়ে চলনবিলের মধ্যখান দিয়ে যমুনায় মিলিত হয়েছে। বড়ালের সঙ্গে প্রায় ১০০টি খাল ও প্রতিটি খালের সঙ্গে ৫-৭টা করে বিল যুক্ত আছে। অসংখ্য বিলের সমন্বয়ে চলনবিল।

তিনি বলেন, পদ্মা-যমুনায় যখন অনেক পানি হয় তখন বড়ালের মাধ্যমে চলনবিলে ছড়িয়ে যায়। এ নদীটির গতিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলনবিলকেই ধংস করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে চারঘাটে ৫০০ ফুট চওড়া বড়াল নদীর উৎসমুখে বাঁধ দিয়ে ৩০ ফুট স্লুইসগেট নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২৫ ফিট গভীরতার নদীটিকে নিচ থেকে ঢালাই দিয়ে ৮ ফিট গভীর করা হয়। পাউবোর হিসেবে আগে ২১ হাজার কিউসেক পানি যেত বড়াল দিয়ে। স্লুইসগেট নির্মাণের পর সেখান দিয়ে ৫ হাজার কিউসেক পানি যেতে পারে। একটি খরস্রোতা নদীকে এভাবেই ধংস করা হয়েছে।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আরও বলেন, এর ৪৬ কিলোমিটার ভাটিতে আটঘড়ি নামে একটি স্থানে দুই দরজার আরেকটি স্লুইসগেট দেওয়া হলো। ফলে পানিপ্রবাহের পরিমাণ আরও কমে গেল। এখান থেকেই ধীরে ধীরে নদী শুকিয়ে গেছে। ১৯৮৫ সালে চারঘাট থেকে ১২৫ কিলোমিটার ভাটিতে চাটমোহরে এসে প্রভাবশালীরা নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পুরোপুরি আটকে দিল। বড়াল তখন ভাগাড় হয়ে গেল, বড় বড় পুকুরে রূপ নিল।

মিজানুর রহমান বলেন, এরপর দহপাড়া নামে এক জায়গায় পুরো নদী চাপিয়ে এনে ১০ ফিট চওড়া এক দরজার একটি স্লুইসগেট দেওয়া হলো। যেটা এসে গুমানী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লনবিলের অপর গুরুত্বপূর্ণ নদী আত্রাই ভারত থেকে আসে। আটঘড়ি থেকে বড়াল নদী দুই ভাগ হয়। একটি বড়াল নাম নিয়ে চাটমোহরের দিকে চলে যায়। অপরটি নন্দকুজা নাম ধরে গুরুদাসপুর চাঁচকৈড় গিয়ে আত্রাইয়ের সঙ্গে মিলিত হয়। আত্রাই ও নন্দকুজার মিলিত ধারা চাঁচকৈড় থেকে গুমানী নাম নিয়ে বয়ে চলে। চাঁচকৈড়ের ৮ কিলোমিটার উজানে আত্রাই নদীতে রাবার ড্যাম দেওয়া হয়েছে। যাতে নদীর গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এভাবেই চলনবিলের বৃহত্তম নদী দুটি ধ্বংস করা হয়েছে।

এস এম মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের সব নদী প্রবহমান উত্তর-দক্ষিণ। কিন্তু ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে সকল রাস্তাঘাট আড়াআড়িভাবে অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিমে স্থাপন করে প্রতিটি নদীর গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে গেছে। ১৯১৪ সালে চলনবিলের বুকচিরে রেলসড়ক নির্মাণ করে প্রথম পেরেক ঠুকেছে ওই ব্রিটিশরাই।

তিনি বলেন, এ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সামগ্রিক চলনবিলের কথা না ভেবে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন করেছেন। চলনবিলের খাল-বিল আর নদী ছিল সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীরা এসব সম্পত্তি নিজেদের করে নিয়েছেন এবং স্থাপনা নির্মাণ করে ধ্বংস করেছেন বিলটিকে। এরপর প্রভাবশালীরা পুকুর খনন শুরু করল। ফলে পানিপ্রবাহের খাল বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বাধ্য হয়ে অন্যান্য কৃষকরাও পুকুর খনন করছে।

তিনি দাবি করে বলেন, চলনবিল রক্ষায় হাওরের মতো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে। সকল রাস্তা ভেঙে উড়ালসড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া চলনবিলকে ঘিরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় থাকতে হবে। চলনবিলের সামগ্রিক ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে উন্নয়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক দীপক কুমার কর বলেন, চলনবিলের মধ্যে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক হচ্ছে বিষফোড়া। এতে চলনবিল বিলুপ্তির অবস্থা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। ওটা উড়ালসড়ক হলে ভালো হতো। শুধু চলনবিলই নয়, বৃহৎ জলাশয়ের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হলে সার্বিক পরিবেশ রক্ষার্থে উড়ালসড়কই করা উচিত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ভূ ও পরিবেশবিজ্ঞানী মো. সুলতান-উল-ইসলাম কালবেলাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে ব-দ্বীপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। নদীগুলোও তার স্থান পরিবর্তন করে। বঙ্গীয় ব-দ্বীপে স্বাভাবিকভাবেই প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটেছে। তার মধ্যে চলনবিল অন্যতম। তবে চলনবিল প্রকৃতিগতভাবে যতটুকু পরিবর্তন হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে আশির দশকে সেচের উন্নয়নের নামে বিলে ও নদীগুলোতে জলকপাট লাগিয়ে যেটা করা হয়েছে তাতে চলনবিলের চলম বিপর্যয় ঘটেছে। উন্নয়নের নামে চারঘাটে বড়াল নদীর উৎসমুখে অপরিকল্পিত বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করায় চলনবিলের প্রাকৃতিক প্রতিবেশ ও পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। নাটোর ও চাটমোহের কোনো কোনো স্থানে বড়াল নদীতে বাঁধ দিয়ে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। শুধু বড়াল নয়, করোতায়া, নন্দকুজা, নারদ, তুলশীগঙ্গা ও আত্রাই নদীর পনিপ্রবাহে কৃত্রিমভাবে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব কারণে চলনবিল আর বিল নেই, এখন ফসলের মাঠে পরিণত হয়ে গেছে।

ভূ ও পরিবেশবিজ্ঞানী আরও বলেন, চলনবিল রক্ষা করতে হলে পানিপ্রবাহের নদীগুলো প্রাকৃতিক নিয়েমে বয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। জলাশয়ে পরিণত করতে চাইলে সকল নদী-খাল ও বিল পুনঃখনন করা দরকার। পানিপ্রবাহে বাধা দিয়ে রাস্তাঘাট তৈরি করা যাবে না। কোনোভাবেই যত্রতত্র পুকুর খনন করতে দেওয়া যাবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি 

এক নজরে দেখে নিন এশিয়া কাপে অংশগ্রহণকারী ছয় দলের স্কোয়াড

জনবল সংকট আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ধুঁকছে স্বাস্থ্যসেবা

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

পলক-আনিসুল-সালমান-কামরুলসহ ৬ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 

জেনে নিন বাড়তি আয়ের ৫টি চমৎকার উপায়

সীমানা পুনর্নির্ধারণ: ইসিতে চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

আইপিএল থেকে অবসরের ঘোষণা তারকা স্পিনারের

শাহবাগ মোড় অবরোধ করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১০

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে এফআইআর

১১

বিদ্যুতায়িত মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়েরও

১২

শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গো গেলেন পুলিশের ১৮০ সদস্য

১৩

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক তারকা ক্রিকেটারের আবেগঘন বার্তা

১৪

সবুজের আঁচলে পাহাড়ি জীবনের ভরসা জুম চাষ

১৫

আর্জেন্টিনাকে যে শাস্তি দিল ফিফা

১৬

আমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

১৭

আসছে বাহুবলি: দ্য এপিক

১৮

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস কোনটি, শচীনের উত্তর শুনে অবাক সবাই

১৯

নদীপাড়ের ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

২০
X