অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে করা মামলায় নাজমুল হাসান (৪০) নামে এক শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ কারাদণ্ড দেন।
জেলার শাহরাস্তি উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের কবির আহম্মেদ ২০২৩ সালের ৮ মে চাঁদপুরের বিচারিক শাহরাস্তি আমলী আদালতে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তার স্ত্রী একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক। স্ত্রী এক সন্তানের জননী হওয়া সত্ত্বেও আসামি একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে চাকরির সুবাদে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, প্রথম ঘটনা ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিলের। ওই দিন বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী ও স্ত্রীর সহকর্মীর অনৈতিক সম্পর্কের কথা বাদী জানতে পারেন। দ্বিতীয় ঘটনা একই বছরের। সেদিন চাঁদপুর খাঁন সড়কে ভাড়া বাসায় তারা অবস্থান করে এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।
এসব তথ্যপ্রমাণে আইনগতভাবে প্রমাণ হওয়ায় চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় বিচারিক সহজাত ক্ষমতাবলে ১ম আসামি নাজমুল হাসানকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী স্বামী কবির আহম্মেদ বলেন, আমার স্ত্রী তার প্রতিষ্ঠানের কৃষি শিক্ষার শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনার সময় তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। আমার স্ত্রী পরিবারের কাউকে কোনো কর্ণপাত করে না। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ লাখ লাখ টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়।
তবে মামলার দ্বিতীয় আসামি ও অভিযোগকারীর স্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে ওই শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
মন্তব্য করুন