সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতায় এক শিক্ষকের পিটুনিতে রাজ প্রতাপ নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষককে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম হোসেন বলেছেন, স্কুলে টিকটকে ব্যস্ত থাকার অভিযোগে বকাঝকা করায় অভিমানে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করতে পারে।
স্কুলছাত্র রাজ প্রতাপ (১৫) উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের হিজলা চন্ডিপুর গ্রামের দ্বীনবন্ধু দাসের ছেলে এবং নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা স্কুল ও শিক্ষকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, রাজ প্রতাপ স্কুলের নিয়ম ভেঙে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অবকাশ সরকার, শিক্ষক শিদ্ধার্থসহ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ডেকে নিয়ে মারপিট করে। এতে প্রতাপ বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবরে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে জনরোষে পড়ে শিক্ষকসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। পরিবেশ শান্ত করতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সন্ধ্যা অবধি উত্তাল ছিল পবিত্র নলতা শরীফ এলাকা। এ সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান, ওসি মামুন রহমান প্রমুখ উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ওসি মো. মামুন রহমান বলেন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নলতা হাইস্কুলে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পাঁচ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। যথাযথ তদন্ত করে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন