নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকারি জায়গা দখল করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

ভাঙ্গরা বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরি। ছবি : কালবেলা
ভাঙ্গরা বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরি। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সড়ক ও জনপদের (সওজ) জায়গায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা তুলে সরকারি জায়গা বেদখল করা হচ্ছে। উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গরা বাজারের দক্ষিণ পাশে নবীনগর থেকে কোম্পানিগঞ্জ সড়কের ডান পাশে সরকারি খালসহ সড়ক ও জনপথের জায়গায় আরসিসি পিলার এবং টিনশেডের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা দেখা যায়, সড়কটির শেষাংশের পশ্চিম পাশের প্রায় ৩০ ফিট প্রস্থ ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখল করে উৎসবমুখর পরিবেশে শতাধিক পাকা ঘর ও টিনশেডের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে বাঙ্গুরা বাজারে যানজটের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এতে করে রাস্তার পাশে থাকা খালটি বর্তমানে সরু হয়ে গেছে। যা নৌকা চলাচল ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এছাড়াও রাস্তা থেকে গাইড ওয়াল পর্যন্ত বেদখলের যেন এক মহোৎসব চলছে। পাশে থাকা যাত্রী ছাউনিটি সেলুন ঘরে পরিণত হয়েছে। অনেক দোকান ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে। কিছু দোকান আরসিসি পিলার দিয়ে ঢালাই কাজ চলছে। বেশকিছু টিনশেডের দোকানের নির্মাণকাজ চলছে। পাশেই একটি ব্রিজের অর্ধেক দখল করে ঘরে উঠেছে চায়ের দোকান।

সওজের জায়গায় অবৈধভাবে দখলের কথা স্বীকার করেন আবু হানিফ ও আলামিনসহ একাধিক দখলদার ব্যক্তি। তারা বলেন, এর আগেও দুই-তিনবার আমাদের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল জীবিকার প্রয়োজনে দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সওজের প্রয়োজনে যে কোনো সময় আমরা দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেব।

এলাকাবাসী ও সওজের সূত্রে জানা যায়, এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আট মাস পরে আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলছে। স্থাপনাগুলো নির্মাণে বাধা দিতে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।বেদখলকারি দোকানের বৈধতা পাওয়ার জন্য স্থানীয় নেতারাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মোটা দাগে টাকা দিতে হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি মো. রবি বলেন, এ জায়গাগুলো সড়ক ও জনপথের। দোকানদাররা অবৈধভাবে দোকান ঘরগুলো নির্মাণ করছেন।

আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, আপনি এখান থেকে টাকা নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিবেদককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, কেউ বলতে পারবে না আমি টাকা নিয়েছি।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পারেছি। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেসি পেলে আমরা উচ্ছেদ অভিযানের ব্যবস্থা নেব।

নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, এসিল্যান্ড অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যেসব জায়গায অবৈধ দখল হচ্ছে এগুলো সওজের জায়গা। যদি সওজ অভিযানে সহযোগিতা করে তাহলে আমরাও সহযোগিতা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারে আলাদা কমিশন গঠনের দাবি

‘১৭ বছরে ব্যবসা ছেড়ে ভারতে গেছেন অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী’ 

ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ গোপালগঞ্জ : নুরুল হক 

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে ২৩ দল

আন্ডারটেকার ও মাইক টাইসন আসছেন ‘বিগ বস ১৯’-এ!

চিলিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সাবেক প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

রাতে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির আভাস

সাফে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮৮০

১১

চীন সফরে নাহিদের সঙ্গে যাচ্ছেন যারা

১২

ব্যালট বাক্সের হিসাব চেয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

১৩

এক দশক পর কারামুক্ত ব্লগার ফারাবী

১৪

১০ মাসেও মেলেনি মোস্তাফিজ হত্যার রহস্য, থামছে না মায়ের কান্না

১৫

নিজের যেসব বদঅভ্যাসে লিভারের ক্ষতি করছেন না জেনেই

১৬

জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে এনসিপি

১৭

‘দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়েছে গাজায়, হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

১৮

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি : এ্যানি

১৯

৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত, সরকারের ব্যয় হবে কত

২০
X