নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাহইল খাল পুনর্খননের কাজ শুরু হয়েছে। এ খাল খননের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
তাদের অভিযোগ, খাল পুনর্খননের নামে নালা বানানো হচ্ছে। ভেকু মেশিন দিয়ে যেভাবে খাল খনন করা হচ্ছে, তা কোনো উপকারে আসবে না। একটু বৃষ্টি হলেই খাল পাড়ের মাটি এসে ভরাট হয়ে যাবে।
তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই খননের কাজ হচ্ছে। কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাহইল খাল খননের ব্যয় ধরা হয় ৮২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯১ টাকা। খালের ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার পুনঃখনন করার কাজ পায় নিয়ামতপুর গাহইল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি। যেখানে চারটি আরসিসি রেফারেন্স লাইন সেকশন নির্মাণ, দুটি উপপ্রকল্পের চিহ্নিতকরণ সাইনবোর্ড ও দুটি উপপ্রকল্প এলাকা নির্দেশনা থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শিডিউল অনুযায়ী খালটি খনন করা হচ্ছে না। ফলে খালটি পুনর্খননের নামে নালা বানানো হচ্ছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে গাহইল খাল পুনর্খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা কোনো কাজে আসবে না। ভেকু মেশিন দিয়ে খালের তলা থেকে মাটি তুলে খালের পাড়েই রাখা হচ্ছে।
এ মাটি বৃষ্টি হলেই ধসে পুনরায় ভরাট হয়ে যাবে নালাটি। এ খাল খননে বরাদ্দকৃত টাকা কোনো কাজে আসবে না। নালার মতো করে খনন করায় খালের পানি দিয়ে অর্ধেক জমিতেও সেচ দেওয়া যাবে না। খালের প্রস্থ হওয়ার কথা ছিল ১০ ফুট। সেখানে করা হচ্ছে মাত্র ৭/৮ ফুট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর গাহইল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, সব কিছু তদারকি করছে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রকৌশলী ও জেলা প্রকৌশলী। তাদের কথামতো আমরা কাজ করছি। ভেকু মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে আমার জানা নেই। গভীরতার বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
ভেকু মেশিনের মালিক রাজু বলেন, আরে ভাই এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাইয়েন না। কাজ আনতে অনেক টাকা লাগে। প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে সমিতির সভাপতির এ কাজ আনতে। অফিসের লোকদের তেল খরচসহ বিভিন্ন খরচ দিতে হয়।
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, কাজের ৭৫ শতাংশ মেশিন দিয়ে এবং ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। আর খননের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নাই। কোথাও দুই ফুট, কোথাও তিন ফুট আবার কোথাও ছয় ফুট খনন করা লাগতে পারে।
নিয়ামতপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ মুহূর্তে যতটুকু জানি, কাজ চলমান রয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনেই খাল খননের কাজ হচ্ছে। খাল খনন কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন