দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হাতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি করে আসছে কতিপয় ব্যক্তি। ফলে তাদের ভয়ে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। আর হাতির ভয়ে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হচ্ছে হাতিকে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভৈরব বাজারের নদীরপাড়ে দেখা যায় হাতির মালিক হাতির পিঠে চুপ করে বসে থাকেন। প্রশিক্ষিত হাতিটি মালিকের ইশারায় এক দোকান থেকে আরেক দোকানের কাছে গিয়ে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলছে।
প্রশিক্ষিত হাতিটির শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিলেই মালিকের কাছে ওই টাকা দিয়ে স্থান ত্যাগ করছে। টাকা না পেলে হাতিটি ক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ স্বরে হুংকার ছাড়ে। অনেকে আবার খুশি হয়ে হাতির শুঁড়ে দশ টাকা বিশ টাকা গুঁজে দিচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথরোধ করে টাকা নিতে দেখা যায় হাতিকে।
কিছুদিন পরপরই হাতি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি করার কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া জানান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলছে বিশালদেহী হাতি। চাঁদা না দিলে দোকান ছাড়ছে না হাতি। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়। রাস্তায় হাতি নামলেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
হাতির মালিক মুহিত জানান, হাতির ভরণপোষণের জন্য খুশি হয়েই অনেকে টাকা দেয়। কাউকে জোর করে টাকা নেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলা বন্যপ্রাণী আইনে যেমন নিষেধ, তেমনি প্রচলিত আইনেও নিষেধ। কেউ যদি বন্যপ্রাণী দিয়ে চাঁদাবাজি করে আমার কাছে অভিযোগ আসলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন