সুজন মৃধা। তিনি থাকেন আমেরিকায়, কিন্তু দেশকে ভুলে যাননি। কৃষি যে দেশের মানুষের রক্তে মিশে আছে তা আর একবার প্রমাণিত। দূর প্রবাসে বসেই দেশে গড়ে তুলেছেন খামার। যে খামারে পালন করা হচ্ছে গরু, ছাগল ও দুম্বাসহ হাঁস-মুরগিও। শুধু তাই নয়, আছে পুকুর ভরা মাছও। নিজের জমিতেই রবি শস্য ও ঘাস চাষ করে লালন-পালন করছেন গবাদিপশুগুলো।
আমেরিকা প্রবাসী সুজন মৃধা এক সময় স্বপ্ন দেখতেন এলাকায় গড়ে তুলবেন বিশাল খামার। যেখানে থাকবে সব ধরনের গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ও পুকুর ভরা মাছ। কিন্তু এই স্বপ্নের মাঝেই ২০০৯ সালে ডিবি লটারির মাধ্যমে ধরা দেয় আরেক স্বপ্ন আমেরিকা যাত্রা। তবে তিনি লালিত স্বপ্নকে ভুলে যাননি। আমেরিকায় বসেই করেছেন তার এই স্বপ্নের খামার।
সুজন মৃধার বাড়ি পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায়। আর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে গড়ে তুলেছেন ৮ একর জমি নিয়ে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত এ বৃহৎ খামার।
দেশে না এসেও প্রবাসে বসেই ভিডিও কলের মাধ্যমে কর্মচারীদের দেন নানা নির্দেশনা। আর এ খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। তার খামারে রয়েছে শতাধিক গরু, ছাগল, দুম্বা।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক জানান, প্রাণিসম্পদ অফিস সব সময় খামারিদের সেবা দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত গবাদিপশুগুলো আছে। কোরবানির কথা বিবেচনা করে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, সুদূর আমেরিকায় বসেও খামার পরিচালনা করছেন সুজন মৃধা। তার স্বপ্ন থেকে সে এটা করছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। গ্রাম উন্নয়নে এভাবে সবাই ভূমিকা রাখলে পাল্টে যাবে গ্রামের চিত্র।
মন্তব্য করুন