উত্তম কুমার দাস, বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

টিনশেড ঘরেই পাঠদান, রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

জরাজীর্ণ টিনশেড শ্রেণিকক্ষেই ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
জরাজীর্ণ টিনশেড শ্রেণিকক্ষেই ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামে ১৯৭৮ সালে স্থানীয় শিক্ষা অনুরাগী মাওলানা মতিউর রহমান খান প্রতিষ্ঠিত করেন পূর্ব মহেশপুর হাছানিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি ১৯৮১ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। মাদ্রাসাটির দোচালা টিনশেড ঘরে তখন থেকে অদ্যাবধি চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। গত ১০ বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে টিনশেড ঘরটি। রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে এখানকার শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ভিজে যায় শ্রেণিকক্ষসহ শিক্ষার্থীরা এবং তাদের বই-খাতা।

অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সনিয়া আক্তার ও রুবি জানায়, প্রচণ্ড সূর্যের তাপে টিনের চালা গরম হয়। শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করতে গিয়ে প্রায় সময় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী। আবার বৃষ্টি হলেই টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।দ্রুত মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন চান তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। প্রতি বছর দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী। আর প্রতি বছর নতুন করে ভর্তি হয় এক থেকে ১৫০ মতো শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরেই এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রখর রোদে ক্লাস করতে গিয়ে অনেকে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি আসলে জামা, কাপড় ও বই খাতা ভিজে যায়, পাঠদানে ব্যাহত হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি।

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফা বলেন, মাদ্রাসার দোচালা ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে শিগগিরই একটি পাকা ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দাস বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মাদ্রাসায় কার্যক্রম পাকা ভবন চলছে। এ মাদ্রাসাও ভবনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে শিগগিরই নতুন একটি পাকা ভবন পাস হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

১০

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

১১

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

১২

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১৩

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১৪

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১৫

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৬

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৭

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৮

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৯

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

২০
X