দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চালের দাম নিম্নমুখী, বস্তা প্রতি কমেছে ৫০০ টাকা

দিনাজপুরের বাহাদুর বাজারের একটি চালের মোকাম। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুরের বাহাদুর বাজারের একটি চালের মোকাম। ছবি : কালবেলা

বোরো মৌসুমের নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করায় দিনাজপুরে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। সব ধরনের নতুন চাল বস্তা প্রতি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে। এতে স্বস্তি এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।

শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম বাহাদুর বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী এরশাদ আলী ও আশরাফ আলী ছুটু বলেন, ৫০ কেজির বস্তা ১০-১৫ দিন আগেও জিরাশাইল (মিনিকেট) চাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০০ থেকে ৩৫৫০ টাকা, বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৩২০০ থেকে ৩২৫০ টাকা, সম্পা চাল বিক্রি হয়েছে ৩৩০০ টাকা। সেই চালগুলোর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে জিরাশাইল (মিনিকেট) ৩০৫০ টাকা, বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২৭৫০ থেকে ২৮০০ টাকা। সম্পা চাল বিক্রি হচ্ছে ২৯০০ টাকা।

তারা বলেন, চালের দাম কমে যাওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। আমরাও চাল বিক্রি করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আগে ক্রেতাদের মুখে অনেক রকম কথা শুনতে হতো। এখন তেমনটা শুনতে হয় না। ফলন ভালো হওয়ায় মিলাররা কম দামে ধান কিনতে পারছেন, তাই তারা কম দামে আমাদের কাছে চাল দিচ্ছেন। আমরাও ক্রেতাদের কাছে কম দামে চাল বিক্রি করতে পারছি।

শহরের রামনগর থেকে চাল কিনতে আসা ইদ্রিস আলী বলেন, তার বাড়িতে ছয়জন খানেওয়ালা। প্রতিমাসেই চাল কিনতে হয়। গত মাসে তিনি ২৮-চাল কিনেছেন ৫০ কেজির বস্তা ৩২৫০ টাকা। শনিবার তিনি একই চাল কিনলেন ২৮০০ টাকায়। তিনি বলেন, কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন। এই চালের দাম যদি ২৪০০ টাকা হতো তাহলে ভালো হতো। মানুষ স্বস্তি করে চাল কিনে খেতে পারত।

আরেক ক্রেতা শহরের উপশহরের বাসিন্দা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার সুলতান আলম বলেন, ৫০ কেজি জিরাশাইল (মিনিকেট) চাল কিনলাম। গত মাসের চেয়ে বস্তায় সাড়ে ৪০০ টাকা কমে। নতুন চাল কিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম। কারণ আমাদের দেশে তো কোনো জিনিসের দাম বাড়লে আর কমে না। বোরো মৌসুমে চালের দাম কমায় মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

খুচরা মাছ বিক্রেতা মো. খলিল বলেন, তিনি প্রতিদিন চাল কিনে থাকেন। গত ১০ দিন ধরে ২৮ জাতের চাল কেজিতে ৪ টাকা কমে কিনছেন। এতে তার প্রতিদিন ২০ টাকা করে বেঁচে যায়। এখন তার চালে মাসে ৬০০ টাকা কম লাগে। তিনি বলেন, বাজারটা আরেকটু কম হলে আমরা যারা প্রতিদিন চাল কিনে খাই তাদের জন্য ভালো হতো।

তবে নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায় জানান, পাটের তৈরি বস্তার দাম যদি কম হতো তাহলে চালের দাম বস্তা প্রতি আরও ৫০ টাকা কমে বিক্রি করা যেত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভয়াবহ আগুনে তুলার মিল পুড়ে ছাই

২১ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৩

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২১ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

৪ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাড়ল বাস ভাড়া

পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে ক্লিন সিটি : চসিক মেয়র

জুলাই সনদে মিত্রদের ‘কাছাকাছি মতামত’ দেওয়ার পরামর্শ বিএনপির

১০

সন্তানকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা

১১

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

১২

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

১৩

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

১৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

১৫

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

১৬

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

১৭

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

১৮

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

১৯

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

২০
X