ঘূর্ণিঝড় রিমাল থেকে উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইতোমধ্যে ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সকালে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় অবস্থানরত সকল পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এখানকার আবাসিক হোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাই উপকূলের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কুয়াকাটার বহুতল আবাসিক হোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়। প্রতিবারের মতো এ বারেও সকল আবাসিক হোটেলগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ বিষয় কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই মুহূর্তে কুয়াকাটা অবস্থানরত সকল পর্যটকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছি আমরা।
পাশাপাশি কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করার পর থেকে, সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য আমরা মাইকিং করছি। সার্বিক পরিস্থিতির মোকাবেলায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগর পার্শ্ববর্তী পর্যটন নাগরিক কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন