আগামীকাল বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের দুই উপজেলা আনোয়ারা ও চন্দনাইশ পরিষদের নির্বাচন। কিন্তু এ নির্বাচনে দুই থানার ওসিরা পক্ষপাত করছেন, যার বলী অন্য প্রার্থীরা। শিকার হচ্ছেন হামলা, নির্যাতনের। চালাতে পারছেন না প্রচারও। তাদের ঘিরে এমন অভিযোগ, আলোচনা ও সমালোচনা পুরোনো। তবে এবার বিষয়টি আমলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যাহার করা হয়েছে দুই থানার ওসিকে।
সোমবার (২৭ মে) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (চ.দ.) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি জানান- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ এবং আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জদের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে আজই সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রত্যাহারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম।
এদিকে এ দুই থানার ওসিকে অন্য কোনো থানায় পোস্টিং না দিয়ে রেঞ্জে বসিয়ে রাখলে তারা দুজন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে এমন ধারণা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থীর এজেন্ট কালবেলাকে বলেন, তাদের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বসিয়ে না রেখে দ্রুত অন্য কোনো থানার দায়িত্ব দেওয়া হোক। আর না হয় কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না নির্বাচন। বাঁধা আসবেই।
এর আগে গত ৪ মে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মদের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপি কমপ্লেইন সেল, অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিঅ্যান্ডপিএস–১) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ঝিওরি গ্রামের মোহাম্মদ ইদ্রিচ (৬৫)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে অফিসিয়ালি কোনো চিঠি আমাদের হাতে আসেনি। চিঠি পাওয়ার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
মন্তব্য করুন